ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে দাঁড়াতে চাপে আছি ॥ হিলারি

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

 নির্বাচনে দাঁড়াতে চাপে আছি ॥ হিলারি

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ‘চাপের মধ্যে’ রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। ৭২ বছর বয়সী হিলারি বলেন, ২০১৬ সালে ট্রাম্পকে পরাজিত করলে কি ধরনের প্রেসিডেন্ট হতেন সে সম্পর্কে ‘সর্বদা’ তিনি ভাবেন। সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দল থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। বিবিসি। ২০২০ সালে দলটির নেতৃত্বের জন্য ইতোমধ্যে ১৭ জন ডেমোক্র্যাট আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ব্রিটেন সফররত হিলারি বিবিসি রেডিও ৫ লাইভের এমা বার্নেটের সঙ্গে কথা বলার সময় জিজ্ঞাসিত হন যে, তিনি আবার প্রার্থী হবেন কিনা। জবাবে হিলারি বলেন, ‘আমি কি ধরনের প্রেসিডেন্ট হতাম এবং আমি কি আলাদাভাবে করতাম আবার আমাদের দেশ এবং বিশ্বকে নিয়ে আমি সবসময়ই চিন্তা করি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেক লোকের দ্বারা প্রচন্ড চাপের মধ্যে আছি। তিনি বলেন, এখানে এই স্টুডিওতে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, এটি কিন্তু আমার পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। এর আগে ব্রিটিশ রাজনীতিতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার এখনও কোন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, দেশটির ভোটদানকারী প্রত্যেক ব্যক্তি নির্বাচনের আগে এই প্রতিবেদনটি দেখার অধিকার রাখে। এটি ‘অনর্থক’ এবং ‘লজ্জাজনক’। যদিও প্রতিবেদনটিতে আনুষ্ঠানিক সুরক্ষা ছাড়পত্র রয়েছে, তবে ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের পরও এটি প্রকাশ করা হবে না। হিলারি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রত্যেক ভোটারের প্রতিবেদনটি পড়া উচিত।’ পার্লামেন্টে গোয়েন্দা ও সুরক্ষা কমিটির প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রে রাশিয়ার কার্যকলাপ পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি, নকলকরণ এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ। এটি যুক্তরাজ্য গোয়েন্দা সেবা যেমন জিসিএইচকিউ, এমআই ৫ এবং এমআই ৬-এর ২০১৬ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণভোট এবং ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার রাশিয়ান গোপন প্রচেষ্টা সম্পর্কিত প্রমাণ রয়েছে। বিবিসি রেডিও ফোর টুডে অনুষ্ঠানে হিলারি বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে পড়েছি কারণ সরকার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে না। এটি একটি পরম শর্ত হওয়া উচিত ছিল। কারণ এতে কোন সন্দেহ নেই, আমরা এটি আমাদের দেশে দেখেছি, আমরা এটি ইউরোপে দেখেছি, আমরা এটি এখানে দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক মানুষ মনে করে, ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার আঁতাত ছিল। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্যে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করেছেন। জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ইপসোস এবং রয়টার্সের যৌথ জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
×