ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রাচীন শহরের সন্ধান ইতিহাসবিদের

প্রকাশিত: ০১:৪৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রাচীন শহরের সন্ধান ইতিহাসবিদের

অনলাইন ডেস্ক ॥ মাচুপিচু থেকে আরও পাঁচ হাজার ফুট উঁচুতে এক প্রাচীন শহরের সন্ধান পেলেন ইতিহাসবিদেরা। সম্প্রতি পেরুতে অবস্থিত আন্দিজ পর্বতমালায় প্রাচীন এই শহরের খোঁজ মিলেছে। ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিকের বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট লিন, প্রত্নতাত্ত্বিক আদান চকি এবং থমাস হার্ডির যৌথ প্রয়াসে লাইট ডিকেটশন, লেসার এবং রেঞ্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইনকা সভ্যতার আগের এই শহরের খোঁজ মিলেছে। ইনকাদের পরিত্যক্ত শহর মাচুপিচুর থেকে যা আরও প্রায় পাঁচ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত ছিল। এই শহরের উচ্চতা ছিল ১৩ হাজার ফুট। এত উচ্চতায় কী ভাবে মানুষ বসবাস করতেন তা ভাবিয়ে তুলেছে ইতিহাসবিদদের। যাতায়াত যেমন দুরূহ, তেমনই এত উঁচুতে বড় গাছ প্রায় নেই বললেই চলে। পাহাড়ের মাথাটা ঝোপঝাড়েই ভর্তি। এমন পরিস্থিতিতে সূর্যের তাপ সহ্য করাটা খুব কষ্টকর। ইতিহাসবিদেরা এই উচ্চতায় স্তম্ভ, বসবাসের ঘর এবং বড় প্রাচীরের মতো দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছেন। তাঁদের অনুমান, মাচুপিচু শহর গড়ে ওঠার আগে এটাই ছিল ইনকাদের বাসস্থান। পরে পাঁচ হাজার ফুট নীচে ইনকা সভ্যতার অন্যতম প্রধান শহর মাচুপিচু গড়ে ওঠে। খোঁজ পাওয়া এই শহরকে তাই ইনকা পূর্ববর্তী সভ্যতা বলছেন ইতিহাসবিদরা। তবে মাচুপিচুর ঠিক কত বছর আগে এই শহর গড়ে উঠেছিল, তা এখনও সঠিক ভাবে নির্ণয় করতে পারেননি ইতিহাসবিদদের। শহরের বয়স জানতে চলছে গবেষণা। পেরুর মাচুপিচু শহরে গড়ে উঠতে শুরু করে ১৪৫০ সাল নাগাদ। রাজা পাচাকিউটেক ইনকা ইউপানকুই নিজের বসবাসের জন্যই এই শহর গড়ে তুলেছিলেন। পেরুতে আন্দিজ পর্বতে সাত হাজার ৯৭০ ফুট উচ্চতায় মাচুপিচু শহর তৈরি হতে শুরু করে। ১৯১১ সালে আমেরিকার ইতিহাসবিদ হিরাম ব্রিংহ্যাম প্রথম এই প্রায় হারিয়ে যাওয়া শহরকে সকলের সামনে আনেন। তবে খুব বেশি দিন এই শহর স্থায়ী হয়নি। ৮০ বছর ব্যবহারের পর এ শহর পরিত্যক্ত হয়ে যায়। জানা যায়, মাচুপিচুর সমস্ত বাসিন্দা গুটি বসন্তে আক্রান্ত হয়ে একে একে মারা যান। মহামারির আকার নিয়েছিল গুটি বসন্ত। ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন, মাচুপিচুতে এক সময় ৭৫০ জন বাস করতেন। আজ সেখানে শুধুই ধ্বংসস্তূপ। সম্প্রতি খোঁজ মেলা ১৩ হাজার ফুট উঁচুর এই প্রি-ইনকা শহর কেন পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল? মাচুপিচুর মতো কোনও মহামারির শিকার হয়েছিল কি না তা জানার চেষ্টা করছেন ইতিহাসবিদরা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×