ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

উবাচ

ইয়াবা খোর স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধু বাংলাদেশ নয় বিশে^র গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে নূর হোসেন এক প্রেরণার নাম। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দিয়েগেছেন নূর হোসেন। সেই গণতন্ত্র কতটা সুসংহত সেই আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু স্বৈরাচারকে হঠাতে নূর হোসেনকেই প্রেরণা হিসেবে যুগে যুগে বেছে নেয়া হবে। যার বুকে লেখা ছিল স্বৈরাচার নিপাত যাক পিঠে লেখা ছিল গণতন্ত্র মুক্তি পাক। দেশের গণতন্ত্রের কথা মনে করতে হলে নূর হোসেনের কথা মনে করতেই হবে। সেই নূর হোসেন সম্পর্কে একজন রাজনৈতিক নেতার মন্তব্য তিনি নাকি একটা এ্যাডিকটেড ইয়াবাখোর, ফেন্সিডিলখোর মানুষ ছিলেন। মানুষ প্রতিবাদ করা আসলে ভুলেই গেছে বলেই রাঙ্গারা এমন বেফাঁস কথা বলে বেড়ান। শুধু রাঙ্গা নয় তার দল জাতীয় পার্টি নূর হোসেন দিবসে গত কয়েক বছর ধরে পাল্টা ‘গণতন্ত্র দিবস’ নামে পালন করে আসছে। মূলত ওই সময়ের স্বৈরাচারের কথা যেন কেউ না বলতে পারে সেই জন্যই এই বিকল্প দিবস ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। সেই দিবসের আলোচনায় রাঙ্গা বলেছেন, নূর হোসেনকে নিয়ে গণতান্ত্রিক দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নাচানাচি করে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখবেন নূর হোসেন দিবস। সেই নূর হোসেন চত্বর এরশাদ করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির গণতন্ত্রটা হলো এমন, যারা অতি ফেন্সিডিলখোর, ইয়াবাখোর, যারা ক্যাসিনোর ব্যবসা করে, তারাই হলো গণতন্ত্রের সোনার সন্তান। এরশাদ গণতন্ত্রের ধারক-বাহক ছিলেন দাবি করে রাঙ্গা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এরশাদ। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের আরেক শহীদ ডাঃ মিলনকে বিএনপি পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করেছে বলেও দাবি করেন রাঙ্গা। তিনি বলেন, তারা লাশ চেয়েছিল। তখন এরশাদ বলেছিলেন আমার কী ঠেকা পড়েছে ক্ষমতায় থাকার! তখন তিনি বলেছিলেন, ঠিক আছে তোমরা ক্ষমতা নাও। কিন্তু, আমাকে জেলে নিতে পারবে না, এটা তোমরা লিখে দাও। কিন্তু বিচারপতি নামের ‘কলঙ্ক’ সাহাব উদ্দিন সেটা মানেননি। কিন্তু নূর হোসেনের আমলে ইয়াবা ছিল না। ফলে নূর হোসেন ইয়াবা খাননি। কিন্তু এখন যারা এ ধরনের কথা বলছেন তারা কি সুস্থ মস্তিষ্কে কথা বলছেন, না তারাই আসল ইয়াবাখোর। যদিও তিনি বার কয়েক সরি বলেছেন। কিন্তু সরি বললেই কি সব মিটে যায়! লাই দিলে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বান্দরকে লাই দিলে বান্দর মাথায় উঠবেই। কে এই বান্দর। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের ভাষায় এই বান্দর হচ্ছেন তার দলেরই মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। ফিরোজ রশীদ বলেছেন যে লেখাপড়া করে নাই, রাতারাতি কাগজের মালা গলায় দিয়ে পরিবহনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে হঠাৎ করে এখানে এসে বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে গেছে। সে এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখায়। আর তার জবাব দিতে আজ সংসদে দাঁড়াতে হয়। আজকে খুব লজ্জিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। ক্যাসিনো কা-ের যারা ক্যাসিনোতে যায় তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর দেশের পরিবহন খাতে যদি চাঁদাবাজি হয় তাহলে সারাদেশে এর প্রভাব পড়ে। পরিবহনে যাতায়াত ভাড়া বাড়ে পণ্যের দরও বেড়ে যায়। মুষ্টিমেয় মানুষ পরিবহনে চাঁদাবাজি করে আর সারাদেশের মানুষকে এর দায় নিতে হয়। মসিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই বলছেন শুদ্ধি অভিযান যদি চলেই তাতে কেন শুধু জুয়াড়িদের ধরা হবে। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন বান্দরকে লাই দিলে গাছের মাথায় ওঠে। আমি যতদিন রাজনীতি করি ততদিন ওর (মসিউর রহমান রাঙ্গা) বয়সও না। ও এই ধৃষ্টতা দেখায় কিভাবে, এই দুঃসাহস কিভাবে পেল? জনগণ ক্ষমা করবে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দায়িত্বহীন মন্তব্য করে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন কথা মুখ থেকে ফসকে গেলে মুখে আর ফিরে আসে না। যত সরি বলা হোক, যতই এ্যাপোলাইজ করা হোক, এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য, কটাক্ষ আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করে দেয়। রাঙ্গা শুধু নূর হোসেনকেই নয়, তির্যক মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও। রাঙ্গা কি আওয়ামী লীগের সহায়তা ছাড়া রাজনীতি করতে পারতেন কি না, অনেকেই এ প্রশ্ন করেছেন। যাদের দয়ার ওপর রাঙ্গার রাজনীতি টিকে আছে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকার বদলে কিভাবে জিহ্বা চালায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রীর বদৌলতে যারা রাজনীতিতে অক্সিজেন পেয়েছেন, তারা নেত্রীকেও কটাক্ষ করেন! শেখ হাসিনার প্রতি কোন কটাক্ষ করলে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের বহু মানুষের অনুভূতিকে কটাক্ষ করা হয়। তাকে আপনারা কটাক্ষ করলে জনগণ কাউকে ক্ষমা করবে না।
×