ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার খুলবে ॥ প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

শীঘ্রই বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার খুলবে ॥ প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার খুলে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেছেন, এক শ্রেণীর ভেন্ডরদের অসযোগিতার কারণে অনেকে মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক দেওয়া সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। তারা সুবিধা ফিরে পাবেন এবং বাংলাদেশী কর্মী যৌক্তিক আর্থিক ব্যয়ে সেখানে যেতে পারবেন। বুধবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য আসছে। বিশেষ করে এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু মনগড়া ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য এই বিভ্রান্তি আরো বাড়াচ্ছে বলে প্রতিয়মান হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন করা প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হয়। এই প্রক্রিয়া ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া কর্তৃক নির্বাচিত ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে উক্ত দেশে যায়। এ প্রক্রিয়া সিন্ডিকেশন ও উচ্চ অভিভাসন ব্যয়ের অভিযোগে মালয়েশিয়ার নতুন সরকার পহেলা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এই পদ্ধতি স্থগিত ঘোষণা করে। মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সরকার স্থগিত শ্রমবাজারটি চালুর জন্য বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। এবিষয়ে জন ওয়ার্কিং গ্রুপের তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকার মালয়েশিয়ার শ্রম অভিভাবন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ও সরাকরি জোটের আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাত করেছি। এই সব বৈঠকগুলোতে যোগ্য এজেন্সির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে অভিভাবসন ব্যয় কমানোসহ নৈতিক অভিবাসন অভিবাসন নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী বলেন, আমরা তথাকথিত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া পক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনায় উভয় পক্ষ যেকোন অনৈতিক সিন্ডিকেশনের বিপক্ষে সুস্পষ্টের কথা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরোধী অবস্থানের চেতনায় অনৈতিকতা দুর্নীতি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিতে অনুসরণ করতে আমি এবং আমার মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর। তবে অনুরোধ, কোনো দায়িত্বশীল মানুষ যেন গুজব বা ধারণার নির্ভর তথ্য বা মন্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ান। কারণ এতে বিদেশে ভুল বার্তা যায়, দেশের শ্রম বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দেশের ভাবমুর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর স্বার্থন্বেষী মহল লাভবান হয়। প্রবাসী ও বিদেশ গমণ ইচ্ছুক সাধারণ কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
×