ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘নিগ্রহকাল’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

 ‘নিগ্রহকাল’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্তমান বিশ্বমানচিত্রের আলোচিত ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অভ্যন্তরীণ জীবন-সংগ্রাম ও তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকুতিকে ধারণ করে পরিচালক প্রসূন রহমান নির্মাণ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মভূমি’। এবার তিনি এই ইস্যু নিয়ে নির্মাণ করেছেন একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। ৮৪ মিনিট ব্যাপ্তির এই চলচ্চিত্রের নাম ‘নিগ্রহকাল’। আইসিএলডিএসের নিবেদনে এবং ইমাশন ক্রিয়েটরের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে সন্ধ্যা ৬টায়, মহাখালী এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে। উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মেজর তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পরিচালক প্রসূন রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন আইসিএলডিএসের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ, আইসিএলডিএসের পরিচালক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু। পরিচালক প্রসূন রহমান বলেন, জীবনঘনিষ্ঠ বা বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র তো এই দেশে এমনিতেই বেশি হলে জায়গা পায় না। তাই মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেপ্লেক্সগুলোতেই মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা। এরপর হয়তো শহরের বাইরে এবং দেশের বাইরে মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করব। পাশাপাশি কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও অংশগ্রহণ করবে প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি। মিয়ানমার সরকার ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালালে জীবন বাঁচানোর জন্য প্রায় ১১ লাখ শরণার্থী নিজেদের জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু তারাই এ দেশের জন্য একটি বড় সঙ্কট তৈরি করেছে। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিতে দিয়ে বাংলাদেশ যে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে- মূলত এই বিষয়গুলোই আমি এই ডকুফিল্মটিতে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ইস্যুতে এ দেশে অনেক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে কিন্তু সবই খন্ড খন্ড। আইসিএলডিএসের সহযোগিতায় আমি চেষ্টা করেছি সম্পন্ন একটি চিত্র তুলে ধরতে। আমরা সাত খন্ডে এটি নির্মাণ করেছি। সেখান থেকেই ৮৪ মিনিটে উদ্বোধনী প্রদর্শনী করছি।
×