ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নত চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান চলচ্চিত্র নির্মাতা জীবন রহমান

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

উন্নত চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান চলচ্চিত্র নির্মাতা জীবন রহমান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ এক সময়ের জনপ্রিয়,আলোচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা জীবন রহমান। ৯০ দশকের গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তার পদযাত্রা শুরু। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘গহর বাদশা বানেছা পরী’ সুপারহিট হয়। এতে চলচ্চিত্র জগতে সাড়া পড়ে যায়। জীবন রহমান খ্যাতিমান পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি একে একে নির্মাণ করে ‘হুলিয়া’, ‘আজকের সন্ত্রাসী’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘আশার প্রদীপ’, ‘আলী কেন গোলাম’, ‘মহা সংগ্রাম’ এবং ‘উত্তর দক্ষিণ’-এর মতো এ্যাকশনধর্মী ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র। তার নির্মিত ১৫টি চলচ্চিত্রই ব্যবসা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সুস্থধারার চলচ্চিত্র ‘মহা সংগ্রাম’ নির্মাণের জন্য তারুণ্য যুব কল্যাণ সংঘ ২০০৫ সালে শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জীবন রহমানকে ‘ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করে। গুণী এই পরিচালক অসুস্থ। ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও ব্রেন স্টোকে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। একমাত্র জামাতার বাড়ি কাটিয়াদি পৌর এলাকার কামারকোনা মহোল্লায় অবস্থান করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এমনকি তিনি বর্তমানে স্পষ্ট ভাবে কথা বলতেও পারেন না। গুণী এই নির্মাতাকে বাঁচাতে দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এই অবস্থায় তিনি শিল্পীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেন জীবন রহমান। তিনি আশা করেন মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন। এদিকে পরিচালক জীবন রহমানের পাশে দাাঁড়িয়েছেন মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাট্যনির্মাতা জি এম সৈকত। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা জিএম সৈকত বলেন জনকণ্ঠকে বলেন, জীবন ভাইয়ের চিকিৎসা সহায়তার আবেদনের কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জমা দেব। আশা করি শিল্পীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্মাতা জীবন রহমানের পাশে দাঁড়াবেন। কারণ উনি মানবতার মা। নির্মাতা জীবন রহমানের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অস্পষ্ট ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথায় উঠে আসে তার সুখ-দুঃখের কথামালা। জীবন তার চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। জীবন রহমান ১৯৬৪ সালে পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পাকুন্দিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বিকম পাস করেন তিনি। সে সময় চলচ্চিত্র পরিচালক খসরু নোমানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে ধীরে ধীরে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৮২ সালে খসরু নোমানের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে নাম লেখান। নির্মাণ করেন ‘সোহেল রানা’। এরপর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কাজী হায়াৎসহ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ করেন এবং পাশাপাশি অভিনয় করেন।
×