দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে যুগের পর যুগ দাবিয়ে রাখা হয়েছিল । সে অবস্থা বহু আন্দোলন,সংগ্রামে আজ প্রায় নিশ্চিহ্ন। সরকার নারীদের বহুমুখী অর্থনৈতিক কাজের সুবিধা করে দিয়েছেন। আগে যেখানে নারীদের সব পেশায় স্বাচ্ছন্দ্য ছিল না, সেখানেই নারীরা এখন দীপ্ত হেঁটে চলেছেন।
নারীর যেখানে এই অবস্থানের জয়জয়কার ঠিক তখনও নারীর ওপর পৈশাচিক নির্যাতন আগের মতোই। কেবল ধরনগুলো পাল্টেছে নির্যাতনের। তনুর কথা বলি না কেন! এখনও গা শিউরে ওঠে! খাদিজা লড়াই করেছে মৃত্যুর সঙ্গে, নানা শারীরিক কষ্টে সে বেঁচে আছে। রুপার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে করলে এখন মেয়েরা বাসে দূরে যেতে বড্ড দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে! সম্প্রতি সবচেয়ে আলোড়নকারী
নুসরাত হত্যার রায় হলেও এমন জুলুম নিয়ে সবার বিবেক প্রতিনিয়ত কাঁপে! কি করে পারে মায়ের জাতকে এতটা নিঠুরভাবে আঘাত করতে! শিশু নারী হতে শুরু করে মধ্য বয়স্ক, পৌড়া কেউ আজ বাদ নেই যৌন হেনস্তার হাত হতে। কেবল শারীরিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভেবে নারীর ওপর পৈশাচিকতা আর কতদিন! দিন দিন যেখানে মানবিক উন্নয়ন হওয়ার কথা সেখানে এসব কল্পনাও হওয়ার কথা না। মিডিয়া ও সংবাদ কর্মীদের প্রচেষ্টায় অনেক আড়ালের খবর আসলেও ৮০% নারী নির্যাতনের দুঃসংবাদ আসছে না। এটাও হয়ত বা একটা ব্যর্থতা। তবে প্রকাশ না করার অনেক কারণই থাকে। প্রকাশ হলেই কি সমাধান হবে না হয়েছে? হয়নি। বরং একের পর এক লোমহর্ষক বর্ণনা আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি টিভি আর খবরের কাগজে। কোনটির ফায়সাল, তো হয়ই না, বরঞ্চ নিত্য খবর আমাদের জীবনকে করছে দুর্বিষহ! স্বাভাবিক চলার গতি থেমে যাচ্ছে! এর শেষ কোথায়? কেউ জানে না সে উত্তর!
ফেনী থেকে
শীর্ষ সংবাদ: