নিহতদের ১০ জনই হবিগঞ্জের

রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, হবিগঞ্জ থেকে ॥ উদয়ন ও তূর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১০ জনই হলো হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এরা হলো, হবিগঞ্জ পৌর শহরতলীর অনোয়ারপুর এলাকার আলী মোঃ ইউনুছ (৩০), বহুলা গ্রামের আলমগীর আলমের ছেলে ইয়াসিন আলম (১২), চুনারুঘাট উপজেলাধীন উলুকান্দি পশ্চিম তালুকদার বাড়ির ফটিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২২), একই উপজেলার পীরের গাঁয়ের আব্দুল হাসিমের ছেলে সুজন মিয়া (২৫), খালা কুলসুমা বেগম (৪৫), একই উপজেলার আহম্মদা ইউনিয়নের আব্দুস সালামের স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৬২), বানিয়াচঙ্গ উপজেলাধীন মর্দন মুরত গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল-আমিন মিয়া (৩৪), একই উপজেলার টাম্বুলী টুলা গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আদিবা আক্তার (৪), ছেলে সোহাগ (৩) ও নবীগঞ্জ উপজেলাধীন বনগাঁও গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম (২৬)। এদিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ওইসব ব্যক্তির বাড়ি-ঘরে চলছে শোকের মাতম। মা-বাবা আর ভাই-বোনরা যাচ্ছে বারবার মুর্ছা। কান্নায় এসব এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। প্রতিটি বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে শোকার্ত মানুষ। এই ঘটনায় নিহত বানিয়াচঙ্গের নিহত আল-আমিনের ভাই কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, চাচা মনু মিয়া ও ভাই শামীমকে সঙ্গে নিয়ে আল-আমিন নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিল। আর এতে পথিমধ্যে এমন দুর্ঘটনার শিকার হলো আল-আমিন। অন্য দু’জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। চুনারুঘাটের নিহত রুবেলের চাচাত ভাই ফুল মিয়া বললেন, স্থানীয় শানখলা মাদ্রাসার দাখিল পড়ুয়া ছাত্র ছিল রুবেল। পাঁচ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিল রুবেল। পথিমধ্যে এই ঘটনার শিকার হলো আমাদের রুবেল। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জনকন্ঠকে বলেন, বি-বাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উনার আলাপ হয়েছে। তিনি বলেছেন, হতাহতদের সকলের নাম-পরিচয় এখনও পুরোপুরি শনাক্ত করা যায়নি। তবে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারবর্গকে আর্থিকসহ প্রয়োজনীয় সকলপ্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নিহত ৭ পরিবারের হাতে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা বাড়লে এইসব পরিবারকেও একই রকম সহযোগিতা করা হবে।