ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের ১০ জন হবিগঞ্জের

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১২ নভেম্বর ২০১৯

কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের ১০ জন হবিগঞ্জের

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ উদয়ন ও তূর্ণা-নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১০ জনই হলো হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এরা হলো, হবিগঞ্জ পৌর শহরতলীর অনোয়ারপুর এলাকার আলী মোঃ ইউনুছ (৩০), বহুলা গ্রামের আলমগীর আলমের ছেলে ইয়াসিন আলম (১২), চুনারুঘাট উপজেলাধীন উলুকান্দি পশ্চিম তালুকদার বাড়ীর ফটিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২২), একই উপজেলার পীরের গাঁয়ের আব্দুল হাসিমের ছেলে সুজন মিয়া (২৫),খালা কুলসুমা বেগম (৪৫), একই উপজেলার আহম্মদা ইউনিয়নের আব্দুস সালামের স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৬২), বানিয়াচঙ্গ উপজেলাধীন মর্দন মুরত গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল-আমিন মিয়া (৩৪), একই উপজেলার টাম্বুলী টুলা গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আদিবা আক্তার (৪),ছেলে সোহা (৩) ও নবীগঞ্জ উপজেলাধীন বনগাঁও গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্রনজরুল ইসলাম (২৬)। এদিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ওইসব ব্যক্তিদের স্ব স্ব বাড়ী-ঘরে চলছে শোকের মাতম। মা-বাবা আর ভাই-বোনরা যাচ্ছে বারবার মুর্ছা। কান্নায় এসব এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। প্রতিটি বাড়ীতে ভীড় জমাচ্ছে শোকার্ত মানুষজন। এই ঘটনায় নিহত বানিয়াচঙ্গের নিহত আল-আমিনের ভাই কান্না বিজরিত কন্ঠে জানান, চাচা মনু মিয়া ও ভাই শামীমকে সাথে নিয়ে আল-আমিন নিমার্ণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য চট্রগ্রামের উদেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। আর এতে পথিমধ্যে এমন দুর্ঘটনার শিকার হলো আল-আমিন। অন্য দু’জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। চুনারুঘাটের নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া বললেন, স্থানীয় শানখলা মাদ্রাসার দাখিল পড়ূয়া ছাত্র ছিল রুবেল। পাঁচ বন্ধু মিলে কক্্রবাজার বেড়াতে যাচ্ছিল রুবেল। পথিমধ্যে এই ঘটনার শিকার হলো আমাদের রুবেল। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জনকন্ঠকে বলেন, বি-বাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সাথে উনার আলাপ হয়েছে। তিনি বলেছেন, হতাহতদের সকলের নাম-পরিচয় এখনও পুরোপুরি শনাক্ত করা যায়নি। তবে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারবর্গকে আর্থিক সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নিহত ৭ পরিবারের হাতে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা বাড়লে এইসব পরিবারকেও একই রকম সহযোগিতা করা হবে।
×