ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে, মসজিদ বিকল্প জায়গায়

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১০ নভেম্বর ২০১৯

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে, মসজিদ বিকল্প জায়গায়

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের সুপ্রীমকোর্ট কয়েক দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে। শনিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এ রায় দিয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় দেয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজারের। রায়ের পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, এখন আমাদের কর্তব্য রামমন্দির নির্মাণ। সুপ্রীমকোর্টের অযোধ্যা মামলার রায়ের পর আরএসএসের প্রধান লক্ষ্য হবে রামমন্দির নির্মাণ, তা স্পষ্ট করে দিলেন ভাগবত। অযোধ্যায় আলাদা জমিতে মসজিদ নির্মাণের ইস্যুতে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি আরএসএসের প্রধান। বিষয়টি তিনি সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। নাগরিকদের কাছে শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে আরএসএস প্রধান অবশ্য এও বলেছেন, এই রায়কে কারও জয় বা পরাজয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত হবে না। অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণার পর নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে আরএসএস প্রধান বলেন, সেখানে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই মামলায় সহযোগিতা করার জন্য সব পক্ষ ও ভারতীয় নাগরিকদের অভিনন্দন। রায়ের পর আরএসএসের লক্ষ্য কী হবে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ভাগবত বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য হবে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। আমরা রামমন্দির বানাব অযোধ্যায়। আর সেটা সকলকে নিয়েই আমাদের করতে হবে। নাগরিকদের শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, অতীতের সব বিরোধ, বিবাদ এখন ভুলে যেতে হবে। আদালতের এই রায়ের পর সব বিরোধ, বিবাদ মিটে গেছে। সব পক্ষের মতামত শুনেই মামলায় এই রায় দিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট। এবার আইন ও সংবিধানকে আমাদের সকলেরই মর্যাদা দিতে হবে। আলাদা জমিতে মসজিদ তৈরির ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে তিনি সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি। তিনি বলেছেন, সেটা তো একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হবে। যে প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবে সরকার। আমরা (আরএসএস) সরকার নই, একটি সংগঠন। সেই প্রক্রিয়ার ওপর আমাদের সকলকেই ভরসা রাখতে হবে। রায়ের পর আখড়ার মুখপাত্র কার্তিক চোপড়া বলেন, শেষ ১৫০ বছর ধরে আমরা যে লড়াই চালাচ্ছি তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট। তাতে নির্মোহী আখড়া কৃতজ্ঞ। কেন্দ্রীয় সরকার শ্রী রাম জন্মস্থান মন্দির নির্মাণের জন্য যে ট্রাস্ট গঠন করবে তাতে নির্মোহী আখড়ার প্রতিনিধি থাকবেন। হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন, সুপ্রীমকোর্ট অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মুসলমানদের ৫ একর বিকল্প জমি দিতে বলেছে। সকলকে নিয়ে চলারই বার্তা দেয়া হয়েছে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরাইব জিলানি বলেন, আমরা সুপ্রীমকোর্টের রায়কে সম্মান জানাই। তবে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব। কাউকে কোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধের জন্য রাস্তায় না নামারও অনুরোধ জানিয়েছেন জাফরাইব। অন্যদিকে হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বরুণ কুমার সিং বলেছেন, এটা ঐতিহাসিক রায়। এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সুপ্রীমকোর্ট বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। রায়ে অখুশি বলে জানিয়েও শান্তি রক্ষার আর্জি জানিয়েছেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরাইব জিলানি। অন্যদিকে হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বরুণ কুমার সিং বলেছেন, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সুপ্রীমকোর্ট বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। রায়ের পরে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদি বলেন, এই রায় কারও জয় বা পরাজয় হিসেবে দেখা উচিত নয়। অমিত শাহ বলেন, সবাই সানন্দে এই রায় গ্রহণ করুন। তার স্লোগান ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’। রায়ের আগে থেকেই উত্তর প্রদেশে জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। রায়ের পর সেই ধারা আরও কঠোরভাবে কার্যকর করা হচ্ছে। কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে অযোধ্যাকে। অযোধ্যা রায়ের প্রতিক্রিয়া অযোধ্যা মামলার রায়ে বিজেপির কোন কৃতিত্ব নেই, দাবি শিবসেনার। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির গড়ার ঐতিহাসিক রায়ের অবদান বিজেপি নিতে পারে না, ১৯৯২ সালের পর থেকেই সেই অবদান শিব সৈনিকদের এবং তারপরও যদি কারও অবদান থেকে থাকে, তাহলে তা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের। পাঁচশ’ বছরের বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এসব কথা জানিয়েছে শিবসেনা দল। তার আগের দিনই সুপ্রীমকোর্টের রায় রামমন্দিরের দিকেই যাবে ধরে নিয়ে এমন দাবি করেছে শিবসেনা। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত শুক্রবার বলেন, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে ভারতীয় জনতা পার্টির কোন ভূমিকাই ছিল না। সে সময় একমাত্র একটাই মানুষ বালসাহেব ঠাকরে (শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা) প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, যদি শিব সৈনিকরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে থাকেন, তাহলে এর জন্য তিনি গর্বিত। তার মতে, সুপ্রীমকোর্টের এই রায় তার দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ সে সময় প্রচুর শিব সৈনিক তাদের প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন। সেগুলো সবই আজ ইতিহাস। বর্তমানে একমাত্র শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই সম্প্রতি দুবার অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে ঘুরে এসে ওই বিতর্ক জিইয়ে রেখেছিলেন। তা না হলে এতদিন অযোধ্যা মামলা হিমঘরে চলে গিয়েছিল। উদ্ধব ঠাকরেই প্রথম বিজেপিকে ওই স্থানে রামমন্দির করার জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু বিজেপি তখন সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। ফলে সুপ্রীমকোর্টের রায়ে তার কৃতিত্বও যথেষ্ট। বিজেপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন কৃতিত্ব নেই। শিবসেনা মুখপাত্রের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরেও একমত। সর্বোচ্চ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের কৃতিত্ব তিনিও বিজেপিকে দিতে নারাজ। আদালত জানিয়েছে, পৌনে ৩ একরের ওই স্থানে মন্দির হবে, তবে তা হবে একটি ট্রাস্টের অধীনে। আর মসজিদের জন্য কাছাকাছি অন্য স্থানে ৫ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। এই রায়ে বিতর্কিত জমির ওপর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্তৃত্বও খর্ব হলো, যারা মন্দির নির্মাণের জন্য মসজিদ ভেঙেছিল। জমিটি এখন ট্রাস্টের অধীনে চলে যাবে এবং ট্রাস্টি বোর্ড মন্দির নির্মাণসহ তার দেখভালের দায়িত্বে থাকবে। রায়ের শুরুতেই প্রধান বিচারপতি গগৈ ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি এবং নির্মোহী আখড়ার বিতর্কিত জমির ওপর দাবি খারিজ করে দেন। তারপর তিনি বলেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) তথ্যানুযায়ী ফাঁকা জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ হয়নি। তবে মাটির নিচে থাকা স্থাপনাটি ঠিক কী ছিল, তা এএসআই সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। যেহেতু বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা ঠিক করা সম্ভব নয়, তাই আইনের ভিত্তিতেই জমির মালিকানা ঠিক করা উচিত। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার ওই জমির মালিকানা পাবে। কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠন করে তাদের হাতে বিতর্কিত জমি তুলে দিতে হবে। ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই বিতর্কিত দুই দশমিক ৭৭ একর জমিতে মন্দির নির্মাণ হবে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ওই জমিতে অধিকার দাবি করতে পারবে না। তারা মসজিদ নির্মাণের জন্য বিকল্প জমি পাবে। অযোধ্যার কেন্দ্রে কোথাও তাদের পাঁচ একর জমি দেয়া হবে এবং সেখানে তারা মসজিদ নির্মাণ করতে পারবে। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এস আব্দুল নাজির। রায় পড়ে শোনান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। গত ৬ আগস্ট থেকে কোন বিরতি ছাড়া শুনানি চলেছে অযোধ্যা মামলার। তারপর ১৬ অক্টোবর রায় দেয়া দেয়ার কাজটি অপেক্ষমাণ করে রাখে সর্বোচ্চ আদালত। অবশেষে শুক্রবার হঠাৎই সুপ্রীমকোর্ট জানায়, শনিবার রায় দেয়া হবে। তার আগে নিজের চেম্বারে ডেকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। আগামী ১৭ নবেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রঞ্জন গগৈ। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, অবসর নেয়ার আগেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়ে যেতে চান। সেই অনুযায়ী তার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে প্রতিদিন শুনানি হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর এই মামলার শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রাখেন প্রধান বিচারপতি। রায় দিলেন পাঁচ বিচারপতি সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দিল। ভারতের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। অমিতাভ বচ্চনের আয়কর সংক্রান্ত মামলা, অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালু, অযোধ্যা জমি বিতর্কসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দিল্লীতে সংবাদ সম্মেলনে যে চারজন বিচারপতি তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, গগৈ তাদের মধ্যে অন্যতম। তার বিরুদ্ধেই আবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন সর্বোচ্চ আদালতের এক নারীকর্মী। শরদ অরবিন্দ বোবদে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে। যিনি এসএ বোবদে নামে বেশি পরিচিত। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ, আধার, অযোধ্যা জমি বিতর্কের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি মুম্বাইয়ের মহারাষ্ট্র জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় ও নাগপুরের মহারাষ্ট্র জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন। এস আব্দুল নাজির কোন হাইকোর্টেও প্রধান বিচারপতি না-হওয়া সত্ত্বেও সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। তাৎক্ষণিক তিন তালাক মামলা যে-বেঞ্চ দিয়েছিল তিনি তার সদস্য ছিলেন। ওই মামলায় তিন তালাক প্রথাকে ‘সংবিধান-বিরোধী’ তকমা দেয়ার বিরোধী ছিলেন তিনি। তার যুক্তি, ইসলামে যার উল্লেখ রয়েছে, তাকে অসাংবিধানিক বলে দেয়াটা ঠিক নয়। ওই প্রথার ওপরে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয়ার পক্ষেই ছিলেন। অশোক ভূষণ ২০০১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৪ সালে কেরল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পান। পরের বছর ওই হাইকোর্টেরই প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৬ সালের মে মাসে সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি হন। মুম্বাইয়ের আরে অরণ্যে গাছ কাটা, দিল্লীতে আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত মামলাসহ বিভিন্ন বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুপ্রীমকোর্টে আধার মামলায় বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। মামলায় পৃথক রায় দিয়ে সতর্ক করেছিলেন, প্রতিটি তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে আধার যুক্ত হলে ব্যক্তিপরিসরের অধিকারে আঘাতের আশঙ্কা থেকে যায়। মূলত আধারের বর্তমান ব্যবস্থার ১০টি ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। অযোধ্য মামলার রায় ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে শনিবার সকাল থেকেই পুরো উত্তর প্রদেশজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রতিবেশী কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশে রাজ্যেও একই নির্দেশ জারি হয়েছে। অযোধ্যার রায়ের পর আবারও ১৯৯২ সালের দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া আটকাতে সব রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের নেতারা নিজ নিজ দলের কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। রামচন্দ্রের জন্মভূমিতে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে বলেই তাদের বিশ্বাস। মসজিদটি ভাঙ্গা নিয়ে ওই বছর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ভারতজুড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বাবরি মসজিদ ও রাম জন্মভূমি নিয়ে বিরোধ মামলা চলছে।
×