ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জর্দানকে রুখে দিয়ে কাল ভুটানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:২০, ৯ নভেম্বর ২০১৯

জর্দানকে রুখে দিয়ে কাল ভুটানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বড় ভাইরা যা পারেনি, সেটাই করে দেখালো তাদের ছোট ভাইরা! না জেতার কথা বলছি না। হার এড়ানোর প্রসঙ্গ এটা। বড় ভাইরা হার এড়াতে পারেনি, ছোট ভাইরা পেরেছে এবং সেটা বেশ ভালভাবেই। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ অ-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের কথা। ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ। আম্মানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্বাগতিক জর্দানের কাছে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ দল। তবে তাদের ছোট ভাইদের ভাগ্যে সেরকম কিছু ঘটেনি। এএফসি অ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে শুক্রবার রাতে বাহরাইনের মানামার খলিফা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ই’ গ্রুপের খেলায় তারা ১-১ গোলে ড্র করে রুখে দিয়েছে শক্তিশালী জর্দানকে, যারা এখন আছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে (২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট)। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে তাদের ঠিক নিচেই, তিনে। বাংলাদেশের নিচে যারা আছে (চারে), সেই ভুটান ২ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরে (জর্দানের কাছে ৩-০ এবং বাহরাইনের কাছে ৪-০) ইতোমধ্যেই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। ২ খেলায় ৬ পয়েন্ট শীর্ষে আছে স্বাগতিক বাহরাইন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কাল রবিবার ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশের যুবারা। পরবর্তী রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখতে প্রথমত এই ম্যাচে বড় জয় চাই বাংলাদেশের। এরপর বাকিটা নির্ভর করছে গ্রুপের অন্যান্য দলের ফলের ওপর। যেমন বাংলাদেশকে আজ ভুটানকে হারাতেই হবে আর কামনা করতে হবে বাহরাইনের কাছে জর্দানের হার। হারলেই জর্দানের সমান পয়েন্ট হয়ে যাবে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে আসবে গোল পার্থক্য এবং হেড টু হেড-এর বিষয়টি। কাজেই পরের রাউন্ডে যাবার বিষয়টি এখন আর বাংলাদেশের হাতে নেই। তারপরও নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে রাখতে হবে বাংলাদেশকে। পরবর্তী রাউন্ডে নাম লেখানোর স্বপ্ন নিয়েই বাহরাইনে গিয়েছিলো বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ ফুটবল দল। কিন্তু ‘ই’ গ্রুপে একমাত্র ভুটান ছাড়া বাকি দুই দলই ছিলো কঠিন প্রতিপক্ষ। যে কারণে এবার শুরুটাই ভালো করতে পারেননি ইয়াসিন আরাফাতরা। ৬ নভেম্বর নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাহরাইনের সঙ্গে তুমুল লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে হারতে হয় বাংলাদেশকে। যে কারণে গ্রুপে পরের ম্যাচগুলোই বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়ায় বাঁচামরার ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার জর্দানের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে এ্যান্ড্রু পিটার টার্নারের শিষ্যরা। যাদের সিনিয়র দলের র‌্যাংকিং বাংলাদেশ থেকে ৮৬ ধাপ এগিয়ে। এমন দলের যুব দলের সঙ্গে লাল-সবুজদের এই ড্র ছিলো বলতে গেলে জয়ের সমতুল্য। কিন্তু পরবর্তী রাউন্ডে নাম লেখাতে হলে হয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হতে হবে নতুবা সেরা চার রানার্সআপের একটি হতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ ২০২০ সালের এএফসি অ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে খেলবে বাছাই পর্বের ১১টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা চার রানার্সআপ দল। ১৬ দলের ওই টুর্নামেন্টের অন্য দলটি স্বাগতিক উজবেকিস্তান। গত ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘ই’গ্রুপের লড়াইয়ে ইতোমধ্যে দু’টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে গ্রুপের ৪টি দলই। এর মধ্যে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবার রেসে সব থেকে এগিয়ে বাহরাইন। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জর্দান। যে কারণে দুই ম্যাচে আশানুরুপ ফলাফল না হলেও এখনো কাগজে-কলমে পরবর্তী রাউন্ডের সম্ভাবনা বেঁচে আছে বাংলাদেশের। কিন্তু ভুটানকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দুই দলের পরের ম্যাচটির দিকে। একই দিনে একই ভেন্যুতে যে ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় রাত দশটায়। যেখানে বাহরাইনের মুখোমুখি হবে জর্ডান। ঐ ম্যাচে দ্ইু দল ড্র করলেও জিতেও বাংলাদেশের কোন আশা থাকবে না। কারণ দুই দলেরই তখন বাংলাদেশের থেকে পয়েন্ট বেশি হয়ে যাবে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছে স্বাগতিক বাহরাইন। আর তাই বাংলাদেশের বড় জয় ও জর্দানের বড় হারই লাল-সবুজদের পরবর্তী রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এই আসরে ২০১৬ সালের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করেছিল ভুটান। এবার কি ফল করবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
×