ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৯ নভেম্বর ২০১৯

 চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তি এখনও চক্রান্ত করে যাচ্ছে। অতীতের মতো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে। শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার মূল লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলবে। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সকল ভেদাভেদ ভুলে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী চার ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন সফল করতে জেলা নেতাদের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এক্ষেত্রে সকল নেতা তাকে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের মধ্য দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবারও এ দুইজন একে অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য রাখেন। রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিমের হস্তক্ষেপে শুক্রবার তাদের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে বলে দাবি করা হয়। এই দুই নেতাসহ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সম্মেলন সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বৈঠকে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ভাল সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সেটা কোনভাবে দলীয় কোন্দল করে নস্যাত করা যাবে না। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে রাজশাহী জেলায় তৃণমূলে সম্মেলন করতে যাচ্ছি। সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কোন সমস্যা না থাকলে কোন প্রতিরোধ সৃষ্টি না হয়ে থাকলে আওয়ামী লীগ একমাত্র সংগঠন যে ৩ বছর পরপর ঠিকমতো কাউন্সিল করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমরা আগামী কাউন্সিল করে সুন্দর একটি কমিটি করে নতুন করে নবোদ্যমে যাত্রা শুরু করব। তিনি বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় করা হবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের বড় শক্তি হলো দলের নেতাকর্মী ও জনগণ। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের মধ্যে সব তিক্ততার অবসান ঘটবে। কেউ কারও বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, সুস্থ প্রতিযোগিতা হবে। কোন অসুস্থ প্রতিযোগিতা হবে না। দলের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলা, উপজেলা, মহানগর, থানা ওয়ার্ড পর্যায়ে যেসব শাখা মেয়াদোত্তীর্ণ আছে সেগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে পুনর্গঠন করা হচ্ছে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
×