ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তীব্র লবণাক্ততা ॥ তবুও রামপালে আমন আবাদ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৯ নভেম্বর ২০১৯

  তীব্র লবণাক্ততা ॥ তবুও রামপালে আমন আবাদ বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ রামপালে তীব্র লবণাক্ততার মধ্যে ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় গত বছরের চেয়ে আমন আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সময়মতো বীজ, সার সরবরাহ, লবণ সহিষ্ণু জাতের ধান আবাদ ও অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলনও ভাল বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। চাষিরা অধিক ফলনের আশা করছেন। তবে সিন্ডিকেটের কারণে তারা আশানুরূপ দাম পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ বছর রামপালের ১০ ইউনিয়নে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান মোট আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। গত বছর এ আবাদের পরিমাণ ছিল, ৭ হাজার ৯২০ হেক্টর। উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে উফশী ১৭০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪৪০ হেক্টর, উজলকুড় ইউনিয়নে উফশী ১৯০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩৫০ হেক্টর, বাইনতলা ইউনিয়নে উফশী ৬৯০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫৩০ হেক্টর, রামপাল সদর ইউনিয়নে উফশী ৩২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫৭০ হেক্টর, রাজনগর ইউনিয়নে উফশী ১৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩০৫ হেক্টর, হুড়কা ইউনিয়নে হাইব্রিড ১০ হেক্টর, উফশী ৩১৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫০০ হেক্টর, পেড়িখালী ইউনিয়নে উফশী ২৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫৫০ হেক্টর, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নে উফশী ১৭০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩০০ হেক্টর, মলিকেরবেড় ইউনিয়নে উফশী ৮৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৭৮০ হেক্টর ও বাঁশতলী ইউনিয়নে উফশী ১৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মলিকেরবেড় ইউনিয়নে ওয়াফদা ভেড়িবাঁধের আওতাভুক্ত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি আমন আবাদ হয়েছে। রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোতাহার হোসেন জানান, সরকার কৃষির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করায় দিন দিন কৃষি আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস, ওঠান বৈঠক, ব্লক পর্যায়ে কৃষক দল গঠন, প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করণ সভাসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছি। পূর্বের চেয়ে কৃষকরা এখন অনেক সচেতন। তারা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষি তথ্য আদান-প্রদান করেন এতে আমরা তাদের সঠিক পরামর্শ দিতে পারি এ কারণে তীব্র লবণাক্ত অঞ্চলেও দিন দিন কৃষি আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
×