ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৭ নভেম্বর ২০১৯

মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে জাতীয় পর্যায় থেকে এখন মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছি। মানসিক স্বাস্থ্য নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের কনভেনশন হলে জরিপের ফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাথমিক স্বাস্থসেবার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে বিষণ্নতা বিশ্বে ১ নম্বর ডিজেজ বার্ডেন হিসেবে পরিগণিত হবে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উন্নত দেশগুলোর মতো প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জরিপের ফল নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে বলে জানান জরিপের প্রধান সমন্বয়ক স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে জরিপের ফল উপস্থাপন করেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম। স্বাস্থসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন ২৫০ জন। এ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেন্টাল হেলথের জন্য আমরা পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও জনবল তৈরি করতে পারিনি। জরিপে সারাদেশের মানুষকে আনতে না পারা দুর্বলতা নয়, সীমাবদ্ধতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোহিত কামাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা রেজওয়ানুল শামীম, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আটটি বিভাগের ৬৪ জেলায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জরিপে ডাটা সংগ্রহের কাজ চলে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের (৭ থেকে ১৭) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নারী, পুরুষ, শহর ও গ্রাম এ চার ভাগে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৭ হাজার ২৭০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২ হাজার ২৪৬ শিশুর ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
×