ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জনকল্যাণমূলক কাজে গাইবান্ধার পুলিশ

প্রকাশিত: ০৮:০২, ৬ নভেম্বর ২০১৯

জনকল্যাণমূলক কাজে গাইবান্ধার পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ জনকল্যাণমূলক কাজে গাইবান্ধার পুলিশ ভিন্ন ধারার সূচনা করেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ তাদের বিধিবদ্ধ কাজের পাশাপাশি গাইবান্ধার জেলা পুলিশ বর্তমান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সামাজিক সমস্যা সংকট নিরসন, ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত জনসচেতনতা, শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেয়া প্রতিহত করে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রশংসনীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে পরিলক্ষিত হয় যে, জেলা শহরে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে রেল লাইন ও রেল স্টেশনের আশেপাশে, পৌর পার্কে, স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা ও শহর রক্ষা বাঁধ এলাকা জুড়ে বই-খাতার ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এই প্রবণতা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজগামি করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনসচেনতামূলক পোস্টারিং করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ চলাকালিন সময়ে লেখাপড়া ছেড়ে তাদের ওই সমস্ত এলাকায় আড্ডা না দিতে ব্যক্তিগতভাবেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসমস্ত পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘বিশেষ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’- পৌরপার্ক ও রেল লাইনের সংলগ্ন এলাকায়, স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পৌরপার্কে বসে আড্ডা দেয়া নিষেধ, প্রচারে- জেলা পুলিশ গাইবান্ধা। এছাড়া সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর জরিমানা ও শাস্তি সম্পর্কিত সচেতনতামূলক পোস্টারও লাগানো হয়েছে। এসমস্ত পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে- আপনাকে অভিবাদন গাড়ী চলাকালিন সময়ে আপনি সিটবেল্ট ও হেলমেট ব্যবহার করেছেন। পুলিশ সুপার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে নিজে এ সমস্ত পোস্টার লাগিয়েছেন এবং জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছেন। এমনকি হেলমেট ব্যবহারসহ যে সমস্ত মোটর সাইকেল চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিষ্ট্রেশন সঠিক আছে তাদের রাস্তায় লাল গোলাপ ফুল এবং রজনী গন্ধা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জেলা পুলিশিং কমিটির কর্মকর্তা, সদস্য, মটর মালিক, মটর শ্রমিক, রিক্সা-অটো শ্রমিক এবং মালিক ও শ্রমিকদের সাথে জেলা শহরে যানজট নিরসন, সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলা এবং জননিরাপত্তা বিধানে সচেতন হওয়ার জন্য মতবিনিময় করেছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। একই ধরণের তৎপরতা জেলার সাতটি উপজেলাতেও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চালানো হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলা পুলিশের এই ভিন্ন ধারার কাজের সূচনা ইতোমধ্যে গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে সার্বিক প্রশংসা অর্জন করেছে।
×