ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ‘কণ্ঠ’

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৭ নভেম্বর ২০১৯

 ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ‘কণ্ঠ’

জয়া আহসান। দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী। এ বছর ১০ মে ভারতে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের আলোচিত ছবি ‘কণ্ঠ’। মুক্তির এগারো দিনেই ছবিটি আয় করে দুই কোটিরও বেশি। বক্স অফিসে এই ছবির সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য। জয়ার সাবলীল অভিনয়, ইউনিক কনসেপ্ট মন ছুঁয়েছিল আট থেকে আশির। ক্যান্সার মানেই যে ‘নো এ্যান্সার’ নয়Ñ সেই বার্তাই দিয়েছে ছবিটি। শুধু তাই নয়, মালায়ালাম ভাষাতেও রিমেক হচ্ছে ‘কণ্ঠ’। ভারতের মাটিতে ভালবাসা কুড়িয়ে ‘কণ্ঠ’র গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। সাফটা চুক্তির ভিত্তিতে আগামীকাল (৮ নবেম্বর) ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। একজন বাচিক শিল্পীর (রেডিও জোকি) দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কণ্ঠ হারানোর এক মর্মস্পর্শী গল্প আর সেই কণ্ঠ ফিরে পাওয়ার লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘কণ্ঠ’। বাগযন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত বিভূতি চক্রবর্তীর জীবনের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘কণ্ঠ’। এতে অর্জুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিবপ্রসাদ নিজে। তার স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাওলি দাম। স্পিচ থেরাপিস্টের মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। এ ছবির মাধ্যমে প্রথমবার পর্দা ভাগাভাগি করলেন জয়া আহসান ও পাওলি দাম। বাংলাদেশে ছবিটি আসা নিয়ে আনন্দিত জয়া আহসান। বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কণ্ঠের মতো একটি অন্য রকম কনসেপ্টের ছবি দেখতে পাবেন, এটা ভেবেই আমার খুব ভাল লাগছে। মূলত এটি লড়াইয়ের গল্প, ফিরে আসার গল্প। দারুণ একটি গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। দেশ-কাল না ভেবে সবার হলে গিয়ে ছবিটি দেখা উচিত। আমরা যখন কাজ করি দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই কাজ করি। তারা কোন না কোন জায়গা থকে অনুপ্রাণিত হবেন। ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ‘কণ্ঠ’। দর্শক ছবিটি দেখে অনুপ্রাণিত হবেন। আমাদের দেশে মূলত হলে গিয়ে ছবি দেখার প্রবণতা কমে গেছে। দিন দিন দর্শক হলবিমুখ হচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই ‘কণ্ঠ’ বড় পর্দায় দেখার মতো ছবি। বাংলাদেশের শিল্পী হয়ে কলকাতায় কাজ করেছি। সবার প্রশংসাও পেয়েছি। তাই আপনারাও হলে গিয়ে ছবিটি কেমন হয়েছে দেখে মতামত জানান। ট্রাফিক জ্যাম উপেক্ষা করে কষ্ট হলেও হলে এসে ছবিটি দেখুন। আমার বিশ্বাস আপনারা হতাশ হবেন না।’ রোমিলা চরিত্রটি ধারণ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? ‘আমি তো আগে কখনও স্পিচ থেরাপিস্ট দেখিইনি। ল্যারিংস ক্যান্সারের বিষয়ে কিছু জানতাম না। চরিত্রটা করার পরে জানতে পারি স্পিচ থেরাপিস্টের কাজটা কী। তারা ডাক্তারও ঠিক নয়, আবার কাউন্সিলরও নয়। তাই অনেক কঠিন ছিল। স্পিচ থেরাপিস্টের চরিত্রটি পৃথিবীতে এখনও কোন ছবিতে আসেনি। বছরের আলোচিত বাংলা সিনেমার মধ্যে কণ্ঠ ইতোমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের দর্শকদের কতটা আলোড়িত করতে পারে এখন সেই অপেক্ষা।
×