ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুর থেকে ড্রাইভিং কোর্সের কেন্দ্র তুলে নেওয়ার ঘোষণা

প্রকাশিত: ০২:৫১, ৬ নভেম্বর ২০১৯

কেশবপুর থেকে ড্রাইভিং কোর্সের কেন্দ্র তুলে নেওয়ার ঘোষণা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরে প্রথম ধাপে যারা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেছিলেন এবং ইতোমধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের যারা লার্নিং পেয়েছেন তাদের পরীক্ষা আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডধারী ১শ'৪৮ জন পরীক্ষার্থী আজ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তবে কেশবপুর থেকে ড্রাইভিং কোর্সের কেন্দ্র তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জনমনে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগে কেশবপুরের জনগনকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যশোর বি আর টি অফিসে যেতে হতো। সেখানে দালালের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ মানুষের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়। এতে মানুষের এদিকে সময় বেশী লাগত অপরদিকে দালাল ও অফিসের অসাধু লোকের দ্বারা হয়রানির শিকার হতে হতো। যশোরে একজন ড্রাইভারকে লাইসেন্স নিতে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা গুনতে হয়। কিন্তু কেশবপুরে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন তাদের শুধু সরকারি ফি দিতে হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। পৃথিবী এখন মানুষের হাতের নাগালেই। সময়ের সাথে মানুষের ব্যস্ততাও বেড়েছে। একসময় কেশবপুর উপজেলা ব্যাপী হাতে গোনা কয়েকটি মটরসাইকেল ছিল। এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে একের অধিক মটরসাইকেল। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূর যশোর গিয়ে একজনকে ড্রাইভিং লাইসেন্স কোর্স করা খুবই কঠিন। নানারকম ঝামেলার কারনে অধিকাংশ মটরসাইকেরের মালিক ড্রাইভিং লাইসেন্স করেন না। আর ভ্রাইভিং দক্ষতা না থাকায় কেশবপুরে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ আহত এবং নিহত হচ্ছে হরহামেশায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কেশবপুরবাসির সময়ের দাবিতে চলতি বছর কেশবপুরে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভ্যেনু বা কেন্দ্র চালু করা হয়। আর এই সুযোগ করে দিয়েছিলেন কেশবপুরের সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান। কেশবপুর ভ্যেনুতে প্রথম ব্যাসের ১শ'৪৮ জনের আবেদন নিয়ে পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার প্রথম ব্যাসে আবেদনকারীদের পরীক্ষাও হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আজ যখন তাদের পরীক্ষা চলছে ঠিক তখনই যশোর জেলা প্রশাসন কেশবপুরের ভ্যেনু বা কেন্দ্র তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমান জানান, অনেক যুদ্ধ সংগ্রাম করে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য পরীক্ষার ভ্যেনু কেশবপুরে নিয়ে এসেছিলাম মাননীয় এমপি ইসমাত আরা সাদেক মহোদয়ের সহযোগিতায়। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার পরীক্ষার পর কেশবপুর থেকে আবারও কেন্দ্র যশোরে চলে যাবে। জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কেশবপুরবাসিকে হতবাক করেছে।
×