ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২ নভেম্বর ২০১৯

নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ নাটোরের বড়াইগ্রামে মনিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নিজ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মনিরুলের শশুর বাড়ীর লোকজনের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে শশুর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী তাসলিকে মারধর ও গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালান মনিরুল। পরে পরিবারের লোকজন তাসলিকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যায় গৃহবধূ তাসলি। বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ দুপুরে তাসলির মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে এই এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এদিকে ঘটনায় সহকারি পুলিশ সুপার ফাতেমা-তুজ-জোহরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাসলি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী গ্রামের আব্দুল কাসেমের মেয়ে। তাসলির পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ১৪ মাস আগে উপজেলার বাটরা গোপালপুর গ্রামের সাজাহান আলীর ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের সাথে তাসলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাসলির বাবা মায়ের কাছে ২লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে মনিরুলের পরিবার। কিন্তু তাসলির বাবা মা যৌতুক দিতে অপারগতা স্বীকার করে। বিয়ের তিন মাস পরেই স্ত্রী তাসলিকে নিয়ে কর্মস্থল চাপাইনবাবগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন মনিরুল ইসলাম। কিন্তু চাচাতো ভাই শাহাদৎ হোসেনের প্ররোচনায় স্ত্রীকে শ^শুরবাড়ী পাঠিয়ে দেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মনিরুল শ্বশুরবাড়িতে এসে তাসলিকে টাকা দিতে বলে। এসময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মনিরুল স্ত্রী তাসলিকে বেধড়ক মারপিটসহ গলায় রশি পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন তাসলির পরিবার। এসময় তাসলিকে মৃত ভেবে জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যান মনিরুল। পরে তারা তাসসিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে গলায় অপারেশন করার পর শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নাটোরর সহকারি পুলিশ সুপার ফাতেমা-তুজ-জোহরা। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম জানান, শুনেছি আমার স্ত্রী মারা গেছেন। তবে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ঠিক নয়। সহকারি পুলিশ সুপার ফাতেমা-তুজ-জোহরা জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×