ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চরফ্যাশনে ফুটবল খেলতে গিয়ে স্কুল ছাত্রের প্রাণ গেল সহপার্টির হাতে, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২ নভেম্বর ২০১৯

চরফ্যাশনে ফুটবল খেলতে গিয়ে স্কুল ছাত্রের প্রাণ গেল সহপার্টির হাতে, গ্রেফতার ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, চরফ্যাশন ॥ ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামে ফুটবল খেলতে গিয়ে সহপার্টি ইকরাম হোসেনের হাতে প্রাণ গেল মেহেদী হাসান রাব্বি (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রের। রাব্বি উপজেলার দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের আবুল কালাম নান্নু হাওলাদারের ছেলে। দক্ষিণ ফ্যাশন নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র। এ ঘটনায় রাব্বির চাচা বশির হাওলাদার বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় শুক্রবার রাতে ইকরাম ও তার পিতা আঃ আলী মাঝীকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ ইকরামের পিতা আঃ আলী মাঝীকে গ্রেফতার করে শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। মামলার বাদী বশির হাওলাদার অভিযোগ করেন-শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা মাঠে ফুটবল খেলতে যায় মেহেদী হাসান রাব্বি। ফুটবল খেলা নিয়ে রাব্বির সাথে সহপার্টি ইকরামের কথার কাটা কাটি হয়। রাব্বিকে এক পর্যায়ে ইকরাম বেধরক গিল ঘুষি মারতে থাকে এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইকরামের পিতা এসে রাব্বিকে ব্যাগ দিয়ে পিটাতে থাকে তখন রাব্বি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রাব্বিকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন । শুক্রবার রাতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা জানান, টাউন স্কুলের অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্র প্রতিবেশী ইকরামের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল মেহেদী হাসান রাব্বি। খেলা শেষে পানি পানের জন্য টিওব ওয়েল থেকে পানি আনছিল রাব্বি, এসময় ইকরাম তার কাছে পানি চাইলে, তোকে দিব কেন? তুই এনে খাঁ। রাব্বির থেকে সিনিয়র ইকরাম। তুই বলায় ইকরাম ক্ষেপে গিয়ে রাব্বিকে কিল ঘুষি মারতে থাকে এক পর্যায় রাব্বি মাটিতে লুটে পড়ে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে এবং পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ সামসুল আরেফিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বাদির অভিযো গের ভিত্তিত্বে মামলা নেয়া হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি, গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপর আসামী আঃ আলীকে গ্রেফতার করে শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
×