ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের রুলের রায় কাল

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২ নভেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের  প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের রুলের  রায় কাল

স্টাফ রিপোটার ॥ ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের রুলের রায় আজ রবিবার ঘোষনা করা হবে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেবেন। সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে কার্যতালিকায় রুলের রায় ঘোষণার বিষয়টি হাইকোর্টের এ বেঞ্চের ১৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। ২৮ অক্টোবর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেছিল আদালত। ১৩ অক্টোবর থেকে একটানা ১২ দিন এ মামলার শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রনালয়ের পক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম , দুদকের পক্ষে এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, ব্যারিষ্টার হাসান এম আজিম , রিটকারীর পক্ষে এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ , ব্যারিষ্টার এম আমির -উল -ইসলাম ,বাংলাদেশ ব্যাংকারর্স এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আইনজীবী শাহ মজ্ঞুরুল হক , পলাশ চন্দ্র রায় ও মুনীরুজ্জামান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিষ্টার আজমালূল হোসেন কিউসি ও ব্যারিষ্টার শামিম খালেদ আহম্মেদ। গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের উপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ২৪ জুন এ স্থিতাবস্থার মেয়াদ আরও দুইমাস বাড়ানো হয়। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপীল বিভাগে আবেদন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগের ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ জুলাই আপীল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন। চেম্বার জজ আদালত ৮ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। ৮ জুলাই এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়। আপীল বিভাগ তখন বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চকে রুল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করে। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম দুনীতি অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর ২৪ জুন হাইকোর্টে ঋণ খেলাপিদের তালিকা দাখিল করা হয়। এ রিটের সঙ্গে সম্পূরক আবেদন হিসেবে ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করেছিলো তা স্থগিতে আবেদন করে রিটকারী পক্ষ। ২০ অক্টোবার ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে খেলাপি ঋণ পরিশোধের যারা সুযোগ গ্রহণ করবেন তারা অন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের আদেশের মেয়াদ আরো এক মাস অথবা এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যে টা আগে শেষ হয়। শেষ পর্য্যন্ত আগেই শুনানি শেষ হয়েছে ।
×