ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুতুবদিয়া বর্ধিত সভায় জামায়াত-যুবদল নেতার উপস্থিতি

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

কুতুবদিয়া বর্ধিত সভায় জামায়াত-যুবদল নেতার উপস্থিতি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ জামায়াতের সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদের একনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে খ্যাত, মো: সিরাজদৌল্লাহ ও লেমশীখালী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নেজাম উদ্দিনকে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বানাতে এক জনপ্রতিনিধি মরিয়া হয়ে উঠেছে। এজন্য বর্ধিত সভায় উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই বিতর্কিত ব্যক্তিদ্বয়কে এক তরফা চিঠি পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের ওই নেতা। চিঠি পেয়ে তারা সোমবার বিকেলে যথারীতি কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত হন। অথচ অনুপ্রবেশকারীদের স্থান না দেয়ার জন্য জেলা-উপজেলা নেতাদের সতর্ক করে শনিবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তৃণমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কুতুবদিয়া ইলহাম কমিনিউটি সেন্টারে অনুষ্টিত বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত ও দলের ক্ষতিসাধন করবে এমন নেতাদের কোনো স্তরের কমিটিতে স্থান না দিতে অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুপ্রবেশ করতে আগ্রহী সিরাজদ্দৌল্লাহ ও নেজামের বিষয়ে কিছু জানেননা উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জনকণ্ঠকে বলেন, এসব ব্যক্তিদের জেলা কমিটি থেকে কোনভাবেই অনুমোদন দেয়া হবেনা। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, দলীয় নেতাকর্মী ব্যতীত কাউকে বর্ধিত সভায় চিঠি দেয়ারও নিয়ম নেই। কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা বিকম বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে দলের বাইরে সিরাজদৌল্লাহ ও যুবদল নেতা নেজাম কিভাবে বর্ধিত সভায় উপস্থিত হয়েছেন, তা তিনি অবগত নন। তাদের চিঠিও দেয়া হয়নি। সূত্র জানায়, কক্সবাজার শহর জামায়াতের সাবেক আমির শামসুল আলম বাহাদুর ও উত্তর ধুরং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মোহাম্মদ বশির বিতর্কিত ওই সিরাজদৌল্লাহর সহোদর। শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগ করতেন দাবী করে কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভোটের দরকার, এজন্য ওই সিরাজদৌল্লাহকে দলে ভিড়ানো হচ্ছে। বর্ধিত সভায় তাকে দলের সদস্য বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া সত্য নয় দাবী করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ। উল্লেখ্য অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ, বিতর্কিত, যারা দলে বলয় তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন ও ‘পদ বাণিজ্যে’র সঙ্গে জড়িত- এমন নেতাদের কোনো স্তরের কমিটিতে স্থান না দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দলের হাই কমান্ড থেকে সম্প্রতি জেলা-উপজেলা নেতাদের সতর্ক করে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
×