ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খাগড়াছড়ির চাইন্দা বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

খাগড়াছড়ির চাইন্দা বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ির শহরের গঞ্জপাড়ায় চাইন্দা বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। তিন মাসের বর্ষাবাস (উপোস) শেষে নানা ধর্মীয় এ কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে চাইন্দা বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান,হাজার বাতি দান ও ধর্ম দেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব। এতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বিকেলে ধর্ম দেশনা দেবেন,পানছড়ি অরণ্য কুটির বৌদ্ধ বিহারের প্রধান ভিক্ষু ভ্রম দত্ত মহাথের। সকালে কঠিন চিবরদানোৎসব প্রথম পর্বের উপস্থিত ছিলেন, ভিক্ষু চাইরা মিজু, চাইন্দা বৌদ্ধা বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি চাইথোয়াই মারমা,সাধারণ সম্পাদক মংথুই মারমা প্রমূখ। জগতের সকল প্রাণীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন,ফুল-ফল পুজা ও প্রার্থনা করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরা ভান্তেকে ছোয়াইং প্রদান করে উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশে আকাশে প্রদীপ (ফানুস) উড়ানোর ও হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করা হবে। কঠিন চীবর দানোৎসব মুলত, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধানতম ধর্মীয় মাসোব্যাপী কর্মীয় অনুষ্ঠান। আষাঢ়ি পূর্ণিমার পর দিন থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাসব্যাপী ওয়া বা বর্ষাব্রত (উপোষ) পালনের ৩ মাস পর হয় প্রবরাণা পূর্ণিমা। তার পর থেকে বিহারে বিহারে শুরু কঠির চীবর দানোৎসব। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরী ও সেই সুতায় চীবর তৈরী করে সে চিবর ভান্তেদের উদ্দেশ্যে দায়ক-দায়িকারা উৎসর্গ (দান) করেন। এই কঠিন চীবর দানোৎসব মুলত উদ্দেশ্য একটাই বুদ্ধের সন্তুষ্টি অর্জন করা।
×