নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ প্রফেসর জয়দের স্বজ্জন! পটুয়াখালী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। মানুষ গড়ার এই কারিগড় চাকুরির শর্ত ভঙ্গ করে তথ্য গোপন করে সরকারের প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বছরের পর বছর সরকারী বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেও বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন না সরকারকে। এ বাবদ প্রায় ২৪ হাজার টাকা তুলে নিচ্ছেন প্রতি মাসে। মানুষ গড়ার কারিগড়ের এমন কান্ডে বিব্রত কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রফেসর জয়দেব স্বজ্জন পটুয়াখালী সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে ২০১২ সালের ২৬ আগষ্ট যোগদান করেন। এর পর থেকে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত দোতলা ভবনের একটি ফ্লাটে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। ২০১৬ সালের ১ মার্চ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরও তিনি ওই ভবনে বসবাস করে যাচ্ছেন। সরকারী বাড়িতে বসবাস করলে বাড়ি ভাড়া কাটার নিয়ম থাকলেও অধ্যক্ষ অর্থ না কেটে তা বেতনের সাথে উত্তোলন করছেন।
জানযায়, সরকারী বাড়িতে বসবাস করেও বাড়ি ভাড়া না কেটে প্রতি মাসে তিনি ২৩ হাজার ৫’শ টাকা করে বাড়ি ভাড়া উত্তোলন করছেন। তবে বেতন উত্তোলনের সময় অধ্যক্ষ জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতি মাসে যে তথ্য দিচ্ছেন তাতে তিনি সরকারী ভবনে বসবাস করছেন না বলে মুচলেকা দিচ্ছেন। কিন্তু পরিবার নিয়েই তিনি শিক্ষক কোয়াটারে থাকছেন। ভবনের বাহির খুব পরিপাটি না থাকলে ভেতরে পরিপাটি সাজানো গোছানে একটি প্লাট। শুধু তাই নয় তার নিজের নিরাপত্তার জন্য ভবনের চারপাশে সিসি টিভি ক্যামরা লাগানো হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের জন্য রয়েছে এসি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর জয়দেব স্বজ্জন দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, তিনি বাসা ভাড়া বাবদ কোন টাকা সরকারকে দেন না। কিন্তু সরকার চাইলে তিনি যে টাকা নিয়েছেন তা ফেরত দিবেন।
পটুয়াখালী জেলার এতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এমন ভাবে তথ্য গোপন করে বাড়ি ভাড়া না কাটার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরাও বিব্রত। এ বিষয়ে শিক্ষক পরিষদের সচিব গাজী জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটি যতটা না নৈতক বিষয় এর থেকেও বড় বিষয় হচ্ছে এক জন অধ্যক্ষ’র সামাজিক মর্যাদার সাথে ওই বাড়িটে যায় না। বিষয়টি আসলেই বিব্রতকর।
গত সাত বছরে সরকারী ঐ বাড়িতে বসবাসের তথ্য গোপন করে সরকারের প্রায় ২০ লাখ অবৈধভাবে উত্তোলন করেন প্রফেসর জয়দেব স্বজ্জন।
