ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আদমদীঘিতে তাজা স্থলমাইন ও গ্রেনেড উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

আদমদীঘিতে তাজা স্থলমাইন ও গ্রেনেড উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পল্লীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা তাজা থাকা ৬টি স্থলমাইন ও ৩টি গ্রেনেড আজ রবিবার নিস্ক্রিয় করেছেন সেনাবাহিনীর বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট। এর পুর্বে হায়াত গুনে প্রাণহানী থেকে রক্ষা পেয়েছে, উদ্ধার করে সেগুলো খেলা শিশুর দল এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার এবং থানায় নিয়ে এসে ধুয়ে পরিস্কার করা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ। জানা গেছে, শনিবার বিকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে কবরস্থানে পাশে একদল শিশু কাদা মাটি কেটে খেলা করার সময় ওই মারণাস্ত্রগুলো পায় এবং সেগুলো নিয়েও খেলা করতে থাকে। এসময় ওই গ্রামের এবুর আলী নামক ব্যক্তি ওই গুলো সামরিক সরঞ্জাম বুঝতে পেরে শিশুদের সেগুলো নিয়ে খেলা করা থেকে বিরত রাখেন এবং তিনি সেগুলো একটি ব্যাগে ভরে থানায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। পরে তিনি ঘটনাটি উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান রাজুকে জানান। ঘটনা শুনে রাজু খান সেগুলো পরিবহন করা থেকে নিবৃত্ত করেন এবং তিনি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্য জালাল উদ্দিনকে খবর দেন। পুলিশ সাধারণ এবং অকেজো ককটেল ভেবে প্রথমে থানার উপ-পরিদর্শক মহাদেব সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পাঠায়। তারা গিয়ে মারণাস্ত্রগুলো দেখে অফিসার ইনচার্য ঘটনা জানান। এর পর দ্রুত ওই গ্রামে গিয়ে সে গুলো উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯টায় থানায় নিয়ে আসেন। পরে সেগুলো ধুয়ে পরিস্কার করেন এবং নিরাপত্তার মধ্যে রাখেন। কিন্তু ভাগ্যগুনে এতো নাড়াচাড়ার পরও সেগুলোর কোনটি বিস্ফোরিত হয়নি। যদি হতো তাহলে ব্যাপক প্রাণহানী ও ধ্বংসের ঘটনা ঘটতো। রবিবার বগুড়া সেনানিবাসের ১১ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপটেন কাজী আরিফ মোঃ কনক এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দল আদমদীঘি থানায় আসেন। তাঁরা ওই বোমাগুলো নিয়ে থানা সদর থেকে প্রায় ৪কিলোমিটার দুরে ছাতিয়ানগ্রাম-আদমদীঘি সড়কের পাশে থাকা জনৈক দস্তগিরের ইট ভাঁটির পাশে নির্জন স্থানে পৌনে ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই দফায় বোমাগুলো সফলতার সাথে নিস্ক্রিয় করেন। এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এগুলো সম্ভবত ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর ফেলে যাওয়া মারণাস্ত্র হতে পারে। বোমাগুলো গায়ে লেখা অনুযায়ী এগুলো তৈরির সাল ১৯৬৬।
×