অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরবরাহ বাড়ায় শীতের আগাম সবজির দাম কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, চাল, আটা ও চিনির দাম। লিটারে দুই টাকা বেড়ে পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৬২-৭০ টাকায়। দাম বেড়েছে মসুর ডাল ও রসুনের। এছাড়া মাছ ও মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। প্রতিহালী ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকায়। সবজির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে নিত্যপণ্যের বাজারে। হেমন্তের বৃষ্টিতে সবজিখেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ব্যবসায়ীদের।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট এবং মিরপুর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, এবার কয়েক দফা বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সারাবছর সবজির দাম বেশি ছিল। বর্ষায় সবজি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে গত কয়েক মাস ধরেই সবজির দাম চড়া ছিল। কিন্তু শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। এরফলে দামও কমেছে প্রায় সব ধরনের সবজির। প্রকারভেদে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে নানা সবজিতে। পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা আর গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। এক সপ্তাহ আগে এই বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ১০০ টাকা আর সিম বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পটল বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪০ টাকা, উস্তে-ঝিঙা-ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা জাত ও মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধা কপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুল কপি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
তবে অপরিবর্তিত আছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ। সবজি দাম প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে সবজির সরবরাহ বাড়বে। এবছর সবজি উৎপাদন ভাল হওয়ায় আগেভাগেই দাম কমে আসছে।
অন্যদিকে, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের সবজি ক্রেতা মামুনুর রহমান বলেন, সারাবছর সবজির দাম বেশি ছিল। এখন দাম কমায় ক্রেতারা বেশি পরিমাণে সবজি কিনতে পারছেন। এদিকে, বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০-১১৫ এবং দেশীটি ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া রসুন ১৩০-১৬০, ভালমানের মসুর ডাল ১১০-১২০, এছাড়া তুরস্কের মোটা দানার মসুর ডাল ৫৫-৬৫ টাকা, চিনি ৫৬-৬০, সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ৭৭-৮৫, আটা ২৬-৩৬ এবং মোটা চাল ৩০-৩৮, সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৪৫-৫৫ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৪২-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: