পদ্মা সেতুর জমিতে কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনে এমওইউ সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির উপস্থিতিতে বনানী সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অব্যবহৃত জমিতে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ রেজাউল হায়দার এবং সেনাবাহিনীর পক্ষে এমএ্যান্ডকিউ পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মামুন অর রশিদ নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী জানান, স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ৫, ৬, ১২ এবং ১৩ নং ব্লকে সর্বমোট ২ হাজার ১৫৮ দশমিক ৫৩ একর জমি ব্যবহার অধিকার হিসেবে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করার পর (প্রাথমিকভাবে ১২ এবং ১৩ নং ব্লক) তাতে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার প্রাণীর একটি ডেইরি ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিদিন আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার লিটার দুগ্ধ উৎপাদন করা হবে। গরুর ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ চল্লিশ হাজার কেজি গরুর মাংস উৎপাদিত হবে। কম্পোজিট মিলিটারি ফার্মে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করে ষাঁড়, গরু, ষাঁড় মহিষ এবং পুরুষ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের সিমেন কৃত্রিম উপায়ে সংগ্রহ করে ফ্রোজেন করা হবে যা পরবর্তীতে অন্য মিলিটারি ফার্ম এবং কৃষক ও খামারিদের কাছে সম্ভাব্য স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা হবে। সার্বিকভাবে ডেইরি ফার্ম, বীফ ফার্ম, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ফার্ম, মহিষ ফার্ম এবং ব্রীডিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে মানসম্মত দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফার্মটি স্থাপিত হলে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূর এবং জাতীয় উৎপাদনে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা সম্ভব হবে।