ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

১ বছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ২২ অক্টোবর ২০১৯

১ বছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ন প্রক্রিয়ার কারণে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, আমানতকারীদের জমানো অর্থ যথাসময়ে ফেরত দিতে পারছে না। বিভিন্ন কারণে চরম অর্থ সংকটে পড়েছে তারা। সুদহার বাড়িয়েও আমানত পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠান। ঋণ বিতরণও কমে গেছে অনেকাংশে। গত অর্থবছর (২০১৮-১৯) শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ঋণ স্থিতি ৬৭ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ সালের জুন শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ স্থিতি ছিল ৬৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ১ বছরে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে মাত্র ৪ দশমিক ১ শতাংশ। সংশ্লিরা জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে সাধারণ আমানতকারীদের মতো অনেক ব্যাংক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। পিপলস লিজিং ছাড়াও বিআইএফসি, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্সসহ কয়েকটি কোম্পানিতে জমানো টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে বিপাকে আছে বিভিন্ন ব্যাংক। সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি এসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সুরাহা পায়নি। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো নতুন করে আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে চাইছে না। অনেক ব্যাংক মেয়াদ না বাড়িয়ে জমানো টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে চাপে পড়েছে পুরো আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। যদিও দু’চারটা প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থার কারণে পুরো খাত যেন সমস্যায় না পড়ে সে বিষয়ে এ খাতের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
×