ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী কর্মচারী গ্রেফতারে পূর্বানুমতি কেন বেআইনী নয়?

প্রকাশিত: ১১:২৪, ২২ অক্টোবর ২০১৯

সরকারী কর্মচারী গ্রেফতারে পূর্বানুমতি কেন বেআইনী নয়?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন সরকারী কর্মচারীকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়া সংক্রান্ত সরকারী চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪১ (১) ধারাকে কেন বেআইনী ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় ম-ল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। রুলের পাশাপাশি একই সঙ্গে আইনের ওই ধারাটি কেন সংবিধানের ২৬(১) ও (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয় সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব এবং জাতীয় সংসদের স্পীকারকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতের আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৮ সালের সরকারী চাকরি আইন ৪১ (১) ধারায় বিশেষ সুবিধা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে সোমবার আদালত রুল জারি করেছে। একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২ (ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিটের পর আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করে। একই সুযোগ সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দেয়ার জন্য ২০১৮ সালে ওই আইনের ৪১ (১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থী। ২০১৮ সালের ১৪ নবেম্বর সরকারী চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়। এর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয়, আইনটি ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। আইনটির ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও সরকারী কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে। এই ৪১ (১) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়। হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।
×