ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে কাল থেকে

প্রকাশিত: ১১:২৩, ২২ অক্টোবর ২০১৯

জাবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে কাল থেকে

জাবি সংবাদদাতা ॥ দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে সর্বাত্মক অসহযোগ ও প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল বুধবার থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তারা। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন, ‘একাধিক ছাত্রলীগ নেতার স্বীকারোক্তিতে দুর্নীতির সঙ্গে বর্তমান উপাচার্যের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রমাণিত। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমের তথ্য, উপাচার্যের দ্বিমুখী বক্তব্য, টেন্ডার ছিনতাইয়ের বিচার না করা, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত না করায় প্রমাণ করে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য স্বৈরাচারী কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্তদের বসিয়ে রেখেছেন। তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত না করে অভিযুক্তদের বিচারের ভয় দেখিয়ে দলে ভেড়ান। এসব কারণে উপাচার্যের নিজ পদে থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই। আগামী বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে কোন প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে দেয়া হবে না। তাকে সহ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’ এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘বুধবার উপাচার্য তার কার্যালয়ে আসলে তাকে অবরুদ্ধ করা হবে। তাকে আর কোন প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে দেয়া হবে না। এই উপাচার্যের স্বাক্ষরিত কোন অফিস আদেশ আমরা মানব না।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তারেক রেজা, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক খবির উদ্দিন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু সাঈদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রফ্রন্ট (মাক্র্সবাদী), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
×