ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে ওসির নামে কনস্টবেলের চাঁদাদাবী

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২১ অক্টোবর ২০১৯

মুন্সীগঞ্জে ওসির নামে কনস্টবেলের চাঁদাদাবী

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নাম করে টাকা চাওয়ায় শাকিল মোল্লা নামে এক কনস্টেবলকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। শাকিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রেডাস নামে একটি তেল বিক্রির দোকানে এ ঘটনা ঘটে। বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের পরিচালক আব্দুর রহমান রবিন জানান, সকালে তিনি দোকানে ছিলাম না, ম্যানেজার ছিল। শাকিল মোল্লা নামে একজন সকালে এসে বলে ওসি স্যার সালাম জানিয়েছেন, তিনি কিছু টাকা দিতে বলেছেন। সাদা কাগজে কিছু একটা লিখে ম্যানেজারকে দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেছেন, আবার কেউ এলে এই কাগজটি দেখাবেন। ম্যানেজার মাত্র দোকান খুলছে জানিয়ে তার বিকাশ নম্বর আছে কিনা জানতে চান। এসময় শাকিল বিকাশ নম্বর দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, আপনি তো পরিচিত তাই পাঁচ হাজার টাকা। এ সময় অন্য এক ব্যক্তি এ ঘটনা দেখতে পেয়ে কাছে এসে ওই কনস্টেবলকে বলেন, চলেন আমরা থানায় যাই, কি হয়েছে দেখি। কিন্তু সে সময় শাকিল মোল্লা নামে ওই কনস্টেবল থানায় যেতে রাজি না হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। এরপর শাকিল মোল্লা স্বীকার করেন তিনি পুলিশ কনস্টেবল, ঢাকার ডিএমপিতে আছেন। পারিবারিক অস্বচ্ছতা ও অভাব অনটনের কারণে তিনি এ কাজটি করেছেন। পরে স্থানীয় জনতা তাকে সদর থানায় নিয়ে যান। তিনি আরও জানান, তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় এলাকায়। তিনি সাসপেন্ড অবস্থায় আছেন বলেও জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, তিনি পুলিশের সদস্য। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও পারিপার্শ্বিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় আছেন। দোকানে গিয়ে থানা থেকে এসেছি বলে টাকা দাবি করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। তিনি অনেকদিন ধরে অসুস্থ, অনেকদিন অনুপস্থিত অবস্থায় কর্মরত পুলিশ বিভাগে। তবে সাসপেন্ড কিনা জানিনা। এ ব্যাপারে ঢাকায় জানানো হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, পুলিশ সদস্য শাকিল মোল্লা মানসিকভাবে অসুস্থ ও পারিবারিকভাবে অস্বছল। আমরা তাকে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে দিয়েছি। এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিটে একটি প্রতিবেদন পাঠানে হবে, যাতে করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়।
×