স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান অভিযান চলবে। দুর্নীতি অনিয়ম দখলদার টেন্ডারবাজ সহিংসতা বন্ধসহ দারিদ্র্য দূরীকরণে বর্তমান সরকারের নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সে লক্ষ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। দলমত নির্বিশেষে সকল কিছুর উর্ধে উঠে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। যেখানে অনিয়ম, অসঙ্গতি, যেখানে আইন অমান্য হচ্ছে বা দুর্নীতি হচ্ছে সেখানেই এ অভিযান চলতে থাকবে। টেন্ডারবাজ ও দুর্নীতিবাজসহ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। শনিবার ‘বর্তমান সরকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠা’ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এফডিসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ঢাকা কলেজকে হারিয়ে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে সকল ধর্মের প্রতিনিধিরা নির্বিঘেœ তাদের ধর্ম পালন করছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কে পাহাড়ী, কে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এসব দেখা হচ্ছে না। আবরার হত্যাকা- একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন আমরা এ ঘটনায় বিস্মৃত হয়েছি। ব্যথিত হয়েছি, দুঃখিত হয়েছি। কিভাবে বুয়েটের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ ধরনের হত্যাকা- ঘটাল তা আমাদের অবাক করেছে। অতি দ্রুতই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে একটি নির্ভুল চার্জশীট দেয়া হবে। নিজ মন্ত্রণালয়ের সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, আনসারসহ সব প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যে আশা জাগিয়েছেন তা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা এই শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানাই। এই অভিযান কতদিন চলবে, এর ব্যাপকতা কতখানি হবে, শুধু কি টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি এই অভিযান আরও সম্প্রসারিত হবে তা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন আছে। শুধু ক্যাসিনো সম্রাটদের নয়, ঘুষ, দুর্নীতি, শেয়ারবাজার জালিয়াতি, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতকারী, খাল-বিল, নদী-নালা দখলকারীসহ ভূমিদস্যুদের দৃশ্যমান বিচার করতে পারলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও বেড়ে যাবে।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সাংবাদিক মোরছালীন বাবলা, সাজেদা পারভীন সাজু, পারভেজ রেজা, রোকসানা আনজুমান ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
