ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্ত চিন্তার বিকাশ জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে : স্পীকার

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

মুক্ত চিন্তার বিকাশ জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে : স্পীকার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, যুব ছায়া সংসদ বা ইয়ুথ পার্লামেন্ট ধারনার মাধ্যমে মুক্ত চিন্তার বিকাশ ঘটে। মুক্ত চিন্তার বিকাশ জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, তরুণদের মুক্ত চিন্তার বিকাশে যুব ছায়া সংসদ ভূমিকা রাখছে। বাক স্বাধীনতা ও যুক্তির মধ্য দিয়ে পরমত পরমতসহিষ্ণুতা চর্চার সুযোগ ঘটেযা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এসময় তিনি গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করার মানসকিতা গড়ে তোলার আহবান জানান। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘যুব ছায়া সংসদ’ এর ৮ম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “খাদ্য অপচয় রোধ,পুষ্টিকর ও নিশ্চিত করুন, যুব ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার দিন”। স্পীকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ তেইশ বছরের লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশকে গড়ে তোলার সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন এ দেশের মাটি ও মানুষ থাকলে এ দেশ একদিন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশের থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজকের বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে। এসময় তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার মধ্যে দিয়ে অর্থনীতির সাথে কৃষকের যোগসূত্র স্থাপণ করে দিয়েছে সরকার। কৃষকের জন্য সরকারী প্রণোদনা এখন সরাসরি কৃষকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতি ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নে এটা মাইল ফলক। ড. শিরীন শারমিন বলেন, পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে সরকার নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছে। শিশু ও নারীর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা চালু করেছে। দেশীয় ফলে প্রচুর পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য উৎপাদনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, খাদ্য অপচয় রোধে যথাযথ গবেষণা ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে পরিকল্পিত উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে সারাদেশে সুষম উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
×