ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশাসক নিয়োগ করা হচ্ছে

গ্রামীণ ও রবির কাছে পাওনা আদায়ে অনড় সরকার

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

 গ্রামীণ ও রবির কাছে পাওনা আদায়ে অনড় সরকার

ফিরোজ মান্না ॥ গ্রামীণ ও রবির কাছে পাওনা আইনের মাধ্যমেই আদায় করা হবে। আইনের মধ্য থেকেই মোবাইলফোন অপারেটরদের কাছে পাওনা টাকা আদায়ে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। লাইসেন্স বাতিল করে টাকা আদায় করা হবে না। কিছুদিন আগেও সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার দুয়ার খোলা রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই বাস্তবতা নেই। মন্ত্রণালয় ও অপারেটররা কোন পক্ষই চাইছেনা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক। আইনের আওতায় মন্ত্রণালয় পাওনা আদায়ে অনড় অবস্থানে নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কথা হচ্ছে আলোচনার আর কোন সুযোগ নেই। এখন সরকারের টাকা তুলতে যা কিছু করণীয় তাই করা হবে। আলোচনার সময় অনেক আগেই চলে গেছে। গ্রামীণফোন ও রবি আদালতে যাওয়ার পর থেকেই আলোচনার বিষয়টি থেমে গেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিটিআরসিকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন-দুই অপারেটরে প্রশাসক নিয়োগ করার জন্য। বিটিআরসি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই কাজ শুরু করেছে। ডাক ও টেলিযোগামন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জনকণ্ঠকে বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিটিআরসি প্রশাসক নিয়োগে অনুমতি চেয়েছিল আমি অনুমোদন দিয়েছি। তাছাড়া প্রসাশক নিয়োগের বিষয়টি অনেক আগের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে দুই অপারেটরকে ৩০ দিনের সময় দিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসির ওই চিঠি পেয়ে তারা আদালতে গেছে। নিম্ন আদালতে তারা হেরে এখন উচ্চ আদালতে গেছেন। আমরাও আদালত মোকাবেলা করব। আমরা আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। তবে সরকারের টাকা আদায়ে প্রশাসক বসিয়ে হোক আর যে কোন পদ্ধতিতেই হোক পাওনা করা হবে। মোট কথা মরকারের টাকা আদায়ের বিষয়ে যা কিছু করণীয় তা করা হবে। এই টাকা কোন ব্যক্তিগত টাকা না। এটা রাষ্ট্রের টাকা-জনগণের টাকা। জনগণের টাকা আদায় না করাই বরং অপরাধ। ব্যক্তিগত টাকা হলে ছেড়ে দেয়া যায়। যখন জনগণের টাকা তখন আর এই টাকাকে ছেড়ে দেয়া যায় না। এই টাকা আদায় করা নৈতিক দায়িত্ব। একটা দেশে কোন প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে আর সেই দেশের আইন মানবেন তা তো হতে পারে। আমরা আইনের বাইরে কোন কিছু করতে চাই না। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, যে কোন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করতে হলে দেশের আইন মেনেই করতে হবে। লাইসেন্স নেয়ার সময় এসব শর্ত মেনেই অপারেটররা লাইসেন্স নিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে এক্ষেত্রে কোন ছাড় নয়। তাদের নিরীক্ষা (অডিট) অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে বিটিআরসির পাওনা ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি এক লাখ টাকা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৪ হাজার ৮৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এনবিআরের টাকা আদায়ের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এনবিআরের পাওনার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার কাছ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা বিষয়টি দুই অপারেটর স্বীকার করছে না। অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগের পর কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। বিটিআরসির পাওনাকে কেন্দ্র করে দেয়া মামলা দুই অপারেটর প্রত্যাহার না করায় আলোচনা বেস্ততে গেছে। বিটিআরসিও লাইসেন্স বাতিল কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে দেয়া চিঠিও প্রত্যাহার করেনি। সব মিলিয়ে বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে অপারেটরদের কোন আলোচনাই হয়নি। অর্থমন্ত্রী বিষয়টি তিন সপ্তাহের মধ্যে সুরাহার কথা বলেছিলেন। তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি উপস্থিত ছিলেন। এতে নিরীক্ষা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। অবশ্য বিভিন্ন সূত্র জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর নেয়া সমঝোতার উদ্যোগে বাকিরা তেমন উৎসাহিত ছিল না। খুশি ছিল কেবল মোবাইল অপারেটররা। অর্থমন্ত্রীর আলোচনা সফল না হওয়ায় ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সরকারের পাওনা টাকা আদায়ে প্রশাসক নিয়োগ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কোন সময় আপারেটর দু’টিতে প্রশাসক বসানো হবে। তবে খবর মিলেছে, আগে গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। কারণ গ্রামীণের কাছে সবচেয়ে বেশি টাকা পায় সরকার। এরপর রবি যদি টাকা পারিশোধ করে তাহলে সেখানে আর প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে না। তবে রবির পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে, এই টাকা মওকুফ করে দেয়া না হলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ধরনের বক্তব্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলও জানেন। এতে সরকার মোটেই বিচলিত নয়। ব্যবসার জায়গায় বাড়তি সুবিধা দেয়া হবে না। গ্রামীণফোন ও রবির কাছে বিটিআরসি পাওনা দাবি করছে ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ও রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এই টাকা আদায়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর দুই অপারেটরকে লাইসেন্স (টুজি ও থ্রিজি) বাতিল কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। জবাবের সময় ৩০ দিন ছিল। এই সময়ে কোন জবাব অপারেটররা দেয়নি। এদিকে, আপারেটরদের লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব ৪ অক্টোবরের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিটিআরসি। জবাব না পেয়ে বিটিআরসি পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছে। বিটিআরসির নিয়োগকৃত অডিট ফার্মের অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে এই টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু চার মাসেও তারা টাকা পরিশোধ করেনি। মূল পাওনা ছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। সুদ আসলে এখন বিশাল অঙ্কের টাকা দাঁড়িয়েছে। বিটিআরসির পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য গ্রামীণফোন ও রবি কে সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ওই সময়কে উপেক্ষা করেছে। এর আগে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে সালিশের (আরবিট্রেশন) কোন সুযোগ নেই। পাওনা আদায়ে দেশের আইনই প্রয়োগ হবে। বাইরের কোন আইন এখানে আনা হবে না। অপারেটরদের কাছে সরকার টাকা পায় তারা টাকা দিয়ে দিলেই তো সব কিছু সমাধান হয়ে যায়। যে দেশে ব্যবসা করছেন সেই দেশের আইন না মানলে কাউকে বাড়তি সুযোগ দেয়া হবে না। গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং আরেক মোবাইল ফোন অপারেটর রবির কাছে তাদের পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এটা সরকারের টাকা। সরকারকে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। অথচ কয়েক দফা সময় দেয়ার পরও তারা টাকা পরিশোধ করেনি। এ কারণে গত ৪ জুলাই গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ এবং রবির ১৫ শতাংশ সীমিত করতে ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল বিটিআরসি। পরে অবশ্য এই নিষেধজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। এদিকে অপারেটররা জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির নানামুখী চাপে দিন দিন মোবাইল ফোনের ব্যবসা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রক কমিশনের চাপে নষ্ট হচ্ছে ব্যবসার পরিবেশ। বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। এমনকি দেশের সবচেয়ে বড় দুই কোম্পানির সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অডিটের অর্থ আদায়ের বদলে লাইসেন্স বাতিলের কথা বলা হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ খাতে এমন সঙ্কটাপন্ন অবস্থা এর আগে দেশে আর হয়নি। মোবাইল অপারেটরগুলো এখন মূলত ত্রিমুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের দাবি অতিরিক্ত ট্যাক্স ও তরঙ্গের উচ্চমূল্য, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের অভাব ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চাপে তারা দিশেহারা। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির কাছে বিটিআরসির অডিটকৃত পাওনার চাপ। এই অর্থ আদায়ে আলোচনার পথ না বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিলের করে দেয়ার কথা ভাবছে। মোবাইল অপারেটররা বলছে, তারা গত অর্থ বছরে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কোন বিনিয়োগ করতে পারেনি। কারণ বিটিআরসি থেকে তাদের কোন ছাড়পত্র বা এনওসি দেয়া হয়নি। ফলে তারা নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কোন যন্ত্রপাতি আনতে পারেনি। নেটওয়ার্ক উন্নয়নের সব টাকা ফেরত চলে গেছে। এবারও একই অবস্থা হবে বলে অপারেটররা মনে করছেন। ফলে মোবাইল সেবায় গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হবেন। প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনের নতুন প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে। গত দেড় বছর ধরে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিটিআরসির দাবি অস্বীকার করে এসেছে। তারা বলছে অডিটের হিসাবে সমস্যা আছে। তাছাড়া যে নীতি মেনে তরঙ্গের ওপর এতদিন বিটিআরসি যে হারে অর্থ আদায় করে এসেছে সেই হিসাব অস্বীকার করে হুট করে নতুন করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা নীতিগ্রাহ্য নয়। গ্রামীণফোন ও রবির কোন পণ্য ক্রয়, আমদানি, প্যাকেজ ইত্যাদিতে নতুন করে কোন এনওসি দেয়া হচ্ছে না। হ্যান্ডসেট বিক্রি বা রোমিংয়ের ক্ষেত্রে অপারেটররা যে অর্থ আদায় করে গ্রাহকদের কাছে তার অতি সামান্যই পায় অপারেটররা, মূল অর্থ পায় রোমিংর ক্ষেত্রে বিদেশী অপারেটররা আর হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে সরবরাহকারীরা। কিন্তু অডিট এই পুরো অর্থের ওপর অপারেটরদের কাছে রাজস্ব আদায় করতে চাইছে। আবার ওই পাওনা অর্থের ওপর সুদসহ অর্থ আদায়ের দাবি করা হয়েছে। এমনকি আদালতে বিচারাধীন অর্থ নিয়েও অডিট পাওনা হিসাব করেছে। বিটিআরসি জানিয়েছে, থ্রি-জি ও ফোর-জি লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে গ্রামীণফোন ও রবিকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানোর পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা কোন জবাব দেয়নি। এখন বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে অপারেটরদের লাইসেন্স বাতিল না করে প্রশাসক বসানোর। যাতে গ্রাহকদের ভোগান্তি না হয়। বিটিআরসির বলেছে, লাইসেন্স বাতিলের দিকে যাব না। সরকারের টাকা আদায়ের জন্য অন্য কোন পথ অবলম্বন করব। যা আইনে আছে তার মধ্যে থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোবাইল অপারেটর দুটির অনুকূলে আইন ও বিধি অনুযায়ী যে ধরনের ব্যবস্থা গৃহীত হোক না কেন, এক্ষেত্রে মোবাইল গ্রাহকের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১-এর ৪৬(২) ধারার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ওই ধারাতেই সবকিছু উল্লেখ আছে। এই ধারাতে প্রশাসক নিয়োগ করা হতে পারে বলে বিটিআরসির জানিয়েছে। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার জন্যই প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে। যাতে অপারেটর বন্ধ হযে না যায়। আপারেটর দুটি চলমান না থাকলে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা হবে না-সরকারের পাওনা টাকাও উদ্ধার হবে না। অন্যদিকে, মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর সঙ্গে একাধিক পক্ষ জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে বিটিসিএল, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আটিসি) কোম্পানি, এনটিটিএন, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি), ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স), ভেহিকেল ট্র্যাকিং সার্ভিস (ভিটিএস), কনটেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইত্যাদি। অপারেটরগুলো বন্ধ হয়ে গেলে কোটি কোটি গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়বেন। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মীও কাজ হারাতে পারেন। এসব সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইনী কাঠামোর মধ্য থেকেই সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আইনের বাইরে গিয়ে কোন কাজ বিটিআরসি করবে না।
×