ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারি নিহত

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

 টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে  দুই রোহিঙ্গা  মাদক কারবারি  নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক কারবারি দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। নিহত মাদক কারবারিরা হচ্ছে- উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এ-৩ ব্লকের সুলতান আহমদের পুত্র মোঃ আবুল হাশেম ও একই ক্যাম্পের সি-১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র নূর কামাল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ উদ্ধার করেছে বিজিবি। শুক্রবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল বরাবর নাফনদীর পাশে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ ফয়সাল হাসান খান জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিল নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসছে সংবাদ পেয়ে বিজিবির টহলদল ওই স্থানে অবস্থান করে। ইয়াবা চালান নৌকাযোগে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের জল সীমানায় প্রবেশ করছে দেখে বিজিবি জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় তারা বিজিবির ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে। জয়পুরহাট নিজস্ব সংবাদদাতা জয়পুরহাট থেকে জানান, পাঁচবিবির পল্লীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৮ মামলার আসামি আমিনুল ইসলাম ক্যাসেট (৪২) নামের এক মাদক কারবারি ও অপহরণকারী নিহত হয়েছে। নিহত আমিনুল পাঁচবিবির পিয়ারা গ্রামের মৃত সাহাবুল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার ভুতগাড়ী গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের জানায়, নিহত ওই মাদক কারবারি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদকসহ আট মামলার আসামি ছিলেন। বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের পাঁচবিবির মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনছুর রহমান জানান পাঁচবিবির ভুতগাড়ী গ্রামে অপহরণকারী দলের সদস্যরা একত্রিত হওয়ার গোপন সংবাদ পেয়ে রাত ৩টার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ আমিনুল ইসলামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। গফরগাঁও নিজস্ব সংবাদদাতা গফরগাঁও থেকে জানান, গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আঃ মোতালেব (৪২) নামে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতের গুলিতে ডিবির এসআই আক্রাম হোসেন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ২০ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কে। নিহত ডাকাত সর্দার মোতালেব উপজেলার ছয়ানী রসুলপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে।
×