ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নরসিংদীতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নানিকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

নরসিংদীতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নানিকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী ॥ মাধবদীতে ভাত দিতে দেরি হওয়ায় নাতি পলাশ মিয়া (১৭) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার নানি ফুলমালা বেগমকে (৬০) হত্যা করেছে। হত্যার পর পুলিশকে ফোন করে আত্মসমর্পণ করেছে পলাশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদী থানার কুড়েরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফুলমালা কুড়েরপাড় গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর স্ত্রী। তার নাতি পলাশ পার্শ্ববর্তী স্বর্পনিগৈর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানায়, স্বামীর মৃত্যুর পর ফুলমালা বেগম তার মেয়ের ঘরের নাতি পলাশ মিয়াকে নিজের কাছে এনে স্কুলে ভর্তি করান। নানির কাছে থেকেই মাধ্যমিক পাস করে এখন কলেজে পড়ছে পলাশ মিয়া। বৃহস্পতিবার বেশি রাত করে বাড়ি ফেরায় নানি পলাশকে বকাঝকা করেন। এ সময় রাতের খাবার দিতে একটু দেরি হওয়ায় পলাশ তার নানির পিঠে ঘুষি দেয়। এতে নানি ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশকে লাথি মারেন। এরপর পলাশ হাতুড়ি নিয়ে নানি ফুলমালার মাথা ও মুখে আঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পলাশ নিজেই ফোনে পুলিশকে ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার এবং পলাশকে গ্রেফতার করে। রাজশাহীতে স্ত্রীর লাশ ফেলে স্বামীর চম্পট স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়েছে রহিদুল ইসলাম (৩৪) নামের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের কুলিবাড়ি গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রহিদুল ইসলাম অটোভ্যানে করে তার স্ত্রী শিমু খাতুনকে (২৭) অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্ত্রী বিষপান করেছেন বলে তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জানান এবং চিকিৎসা শুরু করার অনুরোধ করেন। পরে বিষপানের কোন নমুনা না পেয়ে চিকিৎসক ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণ পর শিমু খাতুন মারা যান। এ সময় খবর পেয়ে শিমুর স্বজনেরাও হাসপাতালে ছুটে আসেন। তবে বিষয়টি টের পেয়ে মৃত স্ত্রীকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ফেলে রেখেই সটকে পড়েন স্বামী রহিদুল ইসলাম। খবর পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন থানা পুলিশ। গৃহবধূ শিমুর ছোট ভাই রেজাউল করিম অভিযোগ করেন, তার বোনকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার বোনের পরকীয়া সর্ম্পক রয়েছে এমন অভিযোগে ভগ্নিপতি রহিদুল ইসলাম প্রায়ই নির্যাতন করতেন। গত তিনদিন ধরে থেমে থেমে তার বোনের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এর ফলেই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের শিমু খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার কুলিবাড়ি গ্রামের রহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। হবিগঞ্জে কৃষক নিজস্ব সংবাদদাতা হবিগঞ্জ থেকে জানান, কালনী গ্রামে কৃষক মতিমিয়াকে (৬০) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত এই হত্যাকা-ের শিকার কৃষক মতি শুকুর মিয়ার পুত্র। পুলিশ জানায়, সদর উপজেলাধীন ওই গ্রামের নঈম উল্ল্যার পুত্র ফুলমিয়াসহ তার সশস্ত্র সাঙ্গোপাঙ্গরা ফুলমিয়াকে তার বাড়ি থেকে সন্ধ্যার পর ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ওরা। ফুলমিয়াকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গাজীপুরে দাদা-নাতির লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, কলেজছাত্র নাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার তার দাদাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নিহতরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার মেদী আশুলাই পালোয়ান বাড়ি এলাকার লাবিব উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (১৮) ও জহিরুলের দাদা হেলাল উদ্দিন (৮৫)। কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার ও নিহতদের পরিবার ও পুলিশ জানায়, মুন্সীগঞ্জে একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করত জহিরুল ইসলাম। গত কয়েকদিন আগে কলেজ বন্ধ থাকায় জহিরুল বাড়ি আসে। সে বাড়িতে বসেই পুরাতন কাপড় দিয়ে একটা রশির মতো তৈরি করে। সেটি দিয়ে কি করবে বাড়ির লোকজন জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে কিছুই করবে না, এমনিতেই সেটি তৈরি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির লোকজন খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে লিচু গাছের ডালের সঙ্গে ওই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জহিরুলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। এ সময় নাতির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার দাদা হেলাল উদ্দিনও মারা যান। নওগাঁয় গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সাপাহারে ভাড়া বাসার শয়নঘর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার মাস্টার পাড়ার মোতাহার হোসেনের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলার দোগাছি গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেন (২৫) নামে এক যুবক বেশ কয়েক বছর ধরে সাপাহার উপজেলা সদরে বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থেকে কখনও চারা গাছ কখনও ফুলের চারাসহ বিভিন্ন ব্যবসা করত। অনুমান দেড় বছর পূর্বে সে তার গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী পুত্র রেখে সাপাহার উপজেলা সদরের লালমাঠিয়া পাড়ায় জনৈক ফারুক হোসেনের অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে জোৎসনা খাতুনকে (১৬) প্রেমের মায়াজালে ফেলে বিয়ে করে। এরপর সে বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় মাস দু’য়েক আগে সে মাস্টার পাড়ার উক্ত বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠে। এলাকাবাসী জানান, ভাড়ার প্রথম দিন হতেই ওই লোক তার স্ত্রী জোৎসনাকে বাসার মধ্যে রেখে বাইরের দরজায় তালা বন্ধ করে রাখত। দুই মাসের মধ্যে একদিনও তার স্ত্রী ওই বাসা হতে বের হয়নি। ঘটনার দিন রাতে ভাড়াটিয়া ফারুক অজ্ঞাত স্থান হতে বাসার মালিক মোতাহার হোসেনকে ফোনে জানিয়ে দেয় যে, তার বাসার ঘরের মধ্যে তার স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে বাসার মালিক পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের মেঝেতে মেয়েটির লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। এরপর পুলিশ ওই ঘর হতে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। ঘটনার পর হতে জোৎসনার স্বামী ফারুক হোসেন পলাতক রয়েছে। তার পলাতক থাকায় সে তার স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করছে। কিশোগঞ্জে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কটিয়াদীতে ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে হারেছা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলার নিকলীর করগাঁও মামুদপুর গরহাটি গ্রামের মৃত আরজ আলীর স্ত্রী। শুক্রবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতের কোন এক সময় ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় হারেছা বেগম। পরে ওইদিন পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। সকালে এলাকার কয়েক ছেলে ডোবার কচুরিপানা তুলতে গিয়ে লাশ ভাসতে দেখে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন লস্কর থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ফরিদপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, বোয়ালমারীতে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ছোলনা গ্রামের নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। মৃত ওই গৃহবধূর নাম সালেহা বেগম (৩৮)। তিনি ছোলনা গ্রামের কামরুল মোল্লার স্ত্রী। সালেহা বেগমের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি করেছে সালেহাকে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী কামরুল হোসেন পলাতক রয়েছেন। সীতাকুন্ডে দুই লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম থেকে জানান, সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দুটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন থেকে এ লাশ দুটি উদ্ধার করেন। জানা যায়, কুমিরা ইউনিয়নে ঘাটঘর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অজ্ঞাতনামা (৪০) ক্ষতবিক্ষত একটি লাশ সকালে দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় প্রতিনিধিরা সীতাকুন্ড থানাকে খবর দিলে মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। অপরদিকে একই ইউনিয়নে পিএইচপি গেটসংলগ্ন মহাসড়কের পার্শ্বে অজ্ঞাতনামা (৪০) মহিলার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে কুমিরা হাইওয়ে থানাকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
×