ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে উপকারে আসছেনা সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

বাউফলে উপকারে আসছেনা সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফল উজেলার কনকদিয়া বাজার থেকে কালিশুরি কুমারখালী পর্যন্ত কানেকটিং সড়কে দুইটি আরসিরি সেতুর দুই পাশে এ্যাপরোচ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতু দুইটি জনগণের কোন উপকারে আসছেনা। স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা ও পটুয়াখালী গ্রামীন সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে কনকদিয়া, সুর্যমনি ও কালিশুরির ইউনিয়নের কুমারখালি সংযোগ সড়কে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। এমএম বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারী ওই ৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ পান। এর মধ্যে ঠিকাদার দুটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করলেও অপর সেতুটির নির্মাণ কাজ এখন পর্যন্ত শেষ করেননি। কেবল সেতুটির পাইল পর্যন্ত করা হয়েছে। অপর দিকে যে সেতু দুইটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে, তার দুই পাশে এ্যাপরোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সেতু দ্ইুটি জনগনের কোন উপকারে আসছেনা। কনকদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমানা বলেন, সেতু দুইটির এ্যাপরোচ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় জনগণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ওই সড়কে কোন যানবাহন চলাচল করছেনা। কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সুর্যমনি, কনকদয়িা ও কালিশুরি ইউনিয়নের প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষের এই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করেন। এর মধ্যে দুইটি সেতুর এ্যাপরোচ সড়ক নির্মাণ না করায় যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার মানুষ। অপর সেতুটির নির্মাণ কাজ প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। দ্রুত দুইটি সেতুর এ্যাপরোচ রোডসহ আরেকটি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা না হলে আন্তঃ ইউনিয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরবে। এই অঞ্চলের জনসাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগের শিকার হবেন। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা খবির সিকদার বলেন, মাটি না পাওয়ার কারণে এ্যাপরোচ রোড করতে বিলম্ভ হচ্ছে। আর অন্য সেতুটি নির্মাণেস্থানীয়রা বাধা দেয়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাঊফল উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দুটি সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য সেতুটি নির্মাণ কাজ বাধা গ্রস্থ হওয়ায় তা বন্ধ রয়েছে। তবে দ্রুত সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। বর্ষার কারণে মাটি না পাওয়ায় অন্য দ্ইুটি সেতুর এ্যাপরোচ সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী তীর্থ জীত রায় স্থানীয় সাংবাদিককে বলেন, বরগুনা ও পটুয়াখালী সেতু প্রকল্পের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু বাউফলে তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে বিলম্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং গাফেলতির জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×