ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবরার হত্যা

তানভীর ও অমিত ফের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

তানভীর ও অমিত ফের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বুয়েট ছাত্র খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও অমিত সাহাকে আবারও রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। আর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নিদেশ দিয়েছে। গত ৮ অক্টোবর তাবাখখারুল ইসলাম তানভীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। গত ১৩ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। বুধবার তাকে আবারও আদালতে সোপর্দ করে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীরকে তিন দিনের দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহাকে আবারও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাইদ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওদিকে আবরার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বুয়েট শিক্ষার্থী হোসেন মোহাম্মদ তোহাকেও পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তোহাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাইদ তোহার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওইদিনই রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার হয়। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে চিকিৎসকরা জানান। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এ ঘটনায় আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ বাদী ঢাকার চকবাজার মডেল থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকা-ের ঘটনায় ইতোমধ্যেই কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। হত্যা মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মাহমুদুল জিসান, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বী তানিম ও যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ পলাতক। তাদের গ্রেফতারের সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
×