ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারপতি নিয়োগ

সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের ভিন্নমত

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের ভিন্নমত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংবিধান অনুসারে বিচারক নিয়োগের কথা বলেছেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন রায়ের আলোকে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করে বিচারিপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। পৃথক পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই কার্যকরী কমিটি এবং একই সালের ২১ আগস্ট সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসব সভায় হাইকোর্ট বিভাগের ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিলের রিট মামলার রায় অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়ন করে বিচারপতি নিয়োগ করার দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরে একইস্থানে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ দেবেন। আর ৯৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রীমকোর্টের কোন বিভাগের বিচারক সংখ্যা সাময়িকভাবে বাড়ানো উচিত বলে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে তিনি যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে অনধিক দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত করতে পারবেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে রেওয়াজ হচ্ছে ৯৮ অনুসারে দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। দুই বছর পরে ওনাদের পারফর্মেন্স দেখে প্রধান বিচারপতি সুপারিশ করেন, সে অনুযায়ী ওনাদের কনফার্ম করা হয়। আমিন উদ্দিন বলেন, একজন আইনজীবীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ বিচারপতির রায়ে নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনায় স্পষ্ট আছে প্রধান বিচারপতি দেখবেন, যারা দুই বছর অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন তাদের বিচারিক কার্যক্রম। অন্য কার্যক্রম সরকার দেখবেন। এভাবে কিন্তু হয়ে আসছে।
×