নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও ॥ আগে ঘরে হুতলে বুকের মধ্যে বৃষ্টির পানি পড়তো। ঘরের মধ্যে চৌকি, খেতা (কাঁথা)-বালিশ মেঘের পানিতে বিইজা যাইতো। আর বেশী মেঘ অইলে ঘর ছাইড়া যাইতাম অন্যের ঘরে। অহন আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার দেওয়ার ঘর পাইয়া বুকের পানি হুগাইছে। যতবারই মেঘ আসুক বুকে আর পানি পড়ে না।
অন্যের ঘরে যাইতে অয়না। আমি ঘর পেয়ে অনেক খুশি। দু-হাত তুলে শেখ হাসিনার লাইগা দোয়া করি আল্লাহ যেন প্রধানমন্ত্রীকে শত বছর বাছাইয়া রাহে। মরলে যেন জান্নাতবাসী করে। তিনি যেন গরীবের ও দেশের উপকার করার লাইগা অনেকদিন বাইচ্ছা থাহে। কথাগুলো বলছিলেন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের হাটুরিয়া গ্রামের শেখ হাসিনার দেওয়া ঘর পাওয়া মৃত হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৫০)।
চলতি ২০১৮-২০১৯ বাস্তবায়িত অর্থ বছরে দুস্থ্য ও গরীব মানুষের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মিত এসব বাড়ী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিটি বাড়ী নির্মানে প্রায় ২ লাখা ৫৮ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। এরই অংশ হিসাবে গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নে ১টি বারবাড়িয়া ১টি লংগাইর ১টি চরআলগী ১টি, যশরা ১টি গফরগাঁও ১টি, দত্তের বাজার ১টি, নিগুয়ারী ১টি সহ মোট ১০টি বাড়ী দিনমুজুর, বিধবা, বর্গাচাষী, অটো রিক্সা চালক ও রাজমিস্ত্রিদেরকে দেওয়া হয়।
ঘরে পেয়ে সুফিয়া খাতুনের মত সাবিনা আক্তার, মতিউর, বাদল মিয়া জানান এখন আর বৃষ্টি হলে প্রকৃতির ডাকে তাদের যেতে হবে না ঝোপ জঙ্গলে। একিই ঘরের ভিতর ২টি রুম ১টি রান্না ঘর ও ১টি বাথরুম যা পেয়ে বদলে গেছে ১০টি পরিবারের সামাজিক জীবনমান। সালটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমূল হক ঢালী জানান, হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ।
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প টি-আর কাবিটা কর্মসুচীর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মান যথাসময়ে সম্পন্ন হয়েছে।
টি-আর কাবিটা কর্মসূচীর সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ২০১৮-১৯অর্খ বছরের বাসগৃহ নির্মান প্রকল্পটি যথাসময়ে সম্পূন্ন হয়েছে। যা রবিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় গফরগাঁওয়ে ১০টি বাড়ী উদ্ধোধন করেন।
