ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেশবপুরে খাস জমি দখল করে ভবন নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০০:৩২, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

কেশবপুরে খাস জমি দখল করে ভবন নির্মানের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুর মুলগ্রাম নতুনহাট বাজারে সরকারি খাস জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মান করা হচ্ছে। মুলগ্রামের মাষ্টার মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম কেশবপুর-বেগমপুর সড়কের পাশে দখল করা ওই জমির সামনে দোকানঘর ও পিছনের অংশে বসতঘর নির্মান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার তদন্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কেশবপুর-বেগমপুর সড়কের মুলগ্রাম নতুনহাট বাজারে রাস্তার উত্তর পাশ দিয়ে পুর্ব পশ্চিমে প্রায় ২২ শতক সরকারি খাস জমি রয়েছে। ওই খাস জমির উপর কয়েকজন ব্যবসায়ী অস্থায়ী দোকান করে ব্যবসা করে আসছে। কেউ কেউ আবার সরকারি খাস জমি ছেড়ে দিয়ে পিছনের দিকে মালিকানা জমিতে দোকানঘর নির্মান করছে। এলকার প্রভাবশালী মাষ্টার মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে খাস জমিতে পাঁচতলা নতুন ভবন নির্মান করছে। সাবেক বাজার কমিটির সদস্য ও সম্প্রতি কমিটির জন্য সিলেকশনকৃত সদ্যগণ সরকারি জমিতে ঘর করতে বাধা দিলেও তাদের বাধার তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী মাষ্টার মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম গায়ের জোরে ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে খাস জমিতে পাঁচতলা ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসি জানিয়েছেন এই এলাকায় তারা খুব প্রভাবশালী, তাই ইচ্ছা থাকলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না। তারা সরকারি জমিতে ভবন নির্মান বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবং বাজারের অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ করে বাজারটাকে প্রশস্থ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন। মাষ্টার মতিয়ার রহমান বলেছেন আমাদের রেকর্ডিয় জমি দিয়ে রাস্তা গিয়েছে বলেই আমি এই খাস জমিতে ঘর করছি। তারপরেও এই জমিতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে আমরা রায় পেয়েছি। সেকানে ওই জমিতে ঘর করতে আমাদের বাঁধা নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এনামূল হক বলেন, ওখানে খাস জমি রয়েছে। কি পরিমান জমি আছে তা সঠিক জানিনা। অভিযোগ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার একজন তহশীলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তহশীলদারের রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×