স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পুঠিয়ায় প্রাইভেট পড়ানোর নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১১) শ্রেণীকক্ষে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মাজেদুর রহমানকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। থানায় মামলাও দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মাজেদুর রহমান উপজেলার শিবপুরহাট-রঘুরামপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রহমতউল্লাহর ছেলে ও রঘুরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, সামনে পিইসি পরীক্ষা, তাই স্কুলের শিক্ষক মাজেদুর রহমান আমার মেয়ের ভাল রেজাল্ট করতে তার কাছে প্রাইভেট পড়াতে বলেন। ভাল ফলের আশায় মেয়েটি গত মাস থেকে তার কাছে প্রাইভেট পড়া শুরু করে। সম্প্রতি দুর্গাপূজার ছুটিতে প্রাইভেট পড়ানোর নামে ফাঁকা শ্রেণীকক্ষে মেয়েকে ধষর্ণের চেষ্টা করে। আর এ ঘটনা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর থেকে মেয়ে প্রাইভেট ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়ের কাছে স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে সব কথা খুলে বলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে জানালে তারা বলে কিছু টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আবদুল হক ও রাতুল হাসান সবুজ বলেন, শিক্ষক মাজেদুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলেও ধর্ষক হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে এখন অনেক শিক্ষার্থী নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রামবাসী ওই শিক্ষকের পাশাপাশি আমাকেও মারধর করেছে। কিন্তু আমি এই বিষয়টি আগে জানতাম না। তবে অপরাধ যে করবে তার সাজা হোক এটা আমিও চাই। এ বিষয়ে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, এ ঘটনাটি গতরাতে শুনেছি। বিষয়টি গত কয়েকদিন আগের। তবে দু’পক্ষের কেউ আমাকে জানায়নি। যদি শিক্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে অব্যশই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে শিক্ষক মাজেদুর রহমানকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: