ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টানা বৃষ্টিতে কপাল পুড়েছে লালমনিরহাটের মরিচ চাষীদের

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

টানা বৃষ্টিতে কপাল পুড়েছে লালমনিরহাটের মরিচ চাষীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার অববাহিকায় মরিচ ক্ষেতে গাছ মরে গেছে। মরিচ উৎপাদন করতে না পারায় কপাল পুড়েছে লালমনিরহাটের মরিচ চাষীদের। নতুন করে মরিচ ক্ষেত রোপন করতে হচ্ছে। তাই খরচ পরবে দ্বিগুন। জানা গেছে, ধানের দাম না পেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা মরিচ ক্ষেত লাগিয়ে ছিল। মরিচ উৎপাদন করে দাম পাড়ে বলে। এতে ধানের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে। কিন্ত গত দেড় সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর অববাহিকায় রোপন করা মরিচ ক্ষেতে পানি জমে মরে গেছে। ভরা মৌসুমে মরিচ ক্ষেতে গাছ মরে যাওয়ায় মরিচ চাষের উৎপাদন খরচ তুলতে পারেনি। এতে ব্যাপক-ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। মরিচ ক্ষেত মরে যাওয়ায় দেশব্যাপী কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম যাওয়ায় দাম বেড়েছে কয়েকগুন। মরিচ ক্ষেত পঁচে যাওয়া দাম পায়নি কৃষকরা। নতুন করে মরিচ ক্ষেত অনেকে রোপন করেছেন। সবজি ও মরিচ চাষে বিখ্যাত লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি, মহিষখোচা ও জেলা সদরের মোগলহাটের কর্ণপুর গ্রাম। কমলাবাড়ি ও কর্ণপুর এলাকার জমি সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাই প্রতিবছর বিভিন্ন সবজি চাষবাদ করে চলে এ অঞ্চলের মানুষের সংসার। চলতি মৌসুমে বড়কমলাবাড়ি গ্রামের কৃষক শহীদুল এক লাখ টাকা খরচ করে এক একর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। প্রথম দিকে প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ৬/৭’শ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এখন ভরা মৌসুম চলছে। এ সময় ভারী বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় মরিচ গাছ মরে গেছে। ফলে উৎপাদন খরচও তুলতে পারেননি তিনি। প্রায় অর্ধলাখ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে তাকে। মরিচ ক্ষেতে মরিচ প্রথম যখন ধরে তারপর কয়েক মাস প্রতি সপ্তাহে মরিচ ক্ষেত থেকে তোলা যায়। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক বিদু ভূষন রায়, মরিচ ক্ষেতে পানি না জমলেও টানা বৃষ্টিতে জমি ভেজা থাকায় মরিচ ক্ষেতের মরিচ গাছ মরে যায়। টানা বৃষ্টিতে মরিচ চাষি ও সবজি চাষীদের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি কারনে জমি রস তৈরী হচ্ছে এতে পরবর্তী ফসল ভালো হবে।
×