ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজ আবার শুনানি

ঋণখেলাপীদের ফের ঋণ দেয়ার পক্ষে সাওয়াল

প্রকাশিত: ১২:০৪, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

ঋণখেলাপীদের ফের ঋণ দেয়ার পক্ষে সাওয়াল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঋণখেলাপীদের ব্যবসা ও কিস্তি দেয়ার স্বার্থে পুনরায় লোন দেয়া দরকার। তা না হলে তারা কোত্থেকে খেলাপী ঋণের কিস্তি দেবে। ঋণখেলাপীদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এ কথা বলেন। আজও পুনরায় শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকা-ে তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে করা রিটের শুনানিতে অপারগতা জানিয়েছে হাইকোর্ট। খাদ্যপণ্যসহ অন্য পণ্যের মানের বিষয়ে ভোক্তাদের সর্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সেবা দিতে হটলাইন চালুর বিষয়ে হাইকোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় তারা হটলাইন চালুর জন্য দুই মাস সময় চেয়েছে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করেছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। ঋণখেলাপীদের ব্যবসা ও কিস্তি দেয়ার স্বার্থে পুনরায় ঋণ দেয়া দরকার। ঋণখেলাপীদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্কুলার জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এ কথা বলেন। মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো শুনানি শুরু হয়। আজ বুধবার আবারও শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছে। এ দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আর বাংলাদেশ ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। এর আগে সোমবার শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মঙ্গলবার শুনানিতে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন , খেলাপীদের জন্য ফেরত ঋণ দরকার। তা না হলে তারা কোত্থেকে খেলাপী ঋণের কিস্তি দেবে। তাদের তো ব্যবসা করতে দিতে হবে। নতুন লোন নিয়ে ব্যবসা করে খেলাপী ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবে। এর আগে ২৯ আগস্ট আদালত আদেশ প্রদান করে, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে খেলাপী ঋণ পরিশোধের যারা সুযোগ গ্রহণ করবে তারা অন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে না। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। ওই দিন রিটকারী আইনজীবীর আবেদন নিষ্পত্তি করে আদালত এ আদেশ প্রদান করে। ২৮ আগস্ট রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পুনরায় একটি আবেদন করে যাতে করে আর কেউ নতুন করে লোন নিতে না পারে। এর আগে ৮ জুলাই ঋণখেলাপীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে স্থিতাবস্থা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ দুই মাসের জন্য স্থগিত করে আপীল বিভাগ। ক্ষতিপূরণের রিট শুনানিতে হাইকোর্টের অপারগতা ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকা-ে তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে করা রিটের শুনানিতে অপারগতা জানিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টেও দ্বৈত বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান। এরপর হাইকোর্টের আরও দু’টি বেঞ্চে রিট আবেদনটি নিয়ে গেলে শুনতে অপারগতা জানায় আদালত। দু’টি বেঞ্চ বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী আবরার হত্যাকা- দেখছেন। অপেক্ষা করুন। দেখুন কি হয়। না হলে পরে আসবেন।’ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফয়েজ। রিটে বিচার বিভাগীয় তদন্ত (জুডিসিয়াল ইনকয়রি) এবং আবরারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রবিবার জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী শাহীন বাবু। দুই মাস সময় চায় ভোক্তা অধিদফতর ॥ খাদ্যপণ্যসহ অন্য পণ্যের মানের বিষয়ে ভোক্তাদের সর্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সেবা দিতে হটলাইন চালুর বিষয়ে হাইকোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় তারা হটলাইন চালুর জন্য দুই মাস সময় চেয়েছে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করেছে। অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হটলাইন চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী দরপত্র প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করে হটলাইন স্থাপন ও চালু করা হবে। এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল এবং আদেশের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত। হটলাইন চালুর অগ্রগতি প্রতিবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।
×