ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে স্কুলভবন পরিত্যক্ত ॥ মাঠে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

নান্দাইলে স্কুলভবন পরিত্যক্ত ॥ মাঠে পাঠদান

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ১৫ অক্টোবর ॥ উপজেলার পূর্ব কচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি আড়াই বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকে দুই বছর খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের পর গত চার মাস আগে উপজেলা প্রশাসন বিদ্যালয়ের মাঠে একটি টিনের ঘর তৈরি করে দিয়েছে। অথচ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫/৬ বছর ধরে নতুন একটি ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও আমলে নিচ্ছে না কেউ। ফলে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজেই শিক্ষা গ্রহণ করছে খুদে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়টির অবস্থান সিংরইল ইউনিয়নের আলাবক্সপুর গ্রামে। সোমবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা মূল ভবন রেখে মাঠে সদ্যনির্মিত একটি টিনের চালার নিচে ক্লাস করছে। আর ভবনটির দরজা-জানালা ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। খসে পড়ছে দেয়ালের প্লাস্টার। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাফিয়া আক্তার হীরা জানায়, গত দুই বছর তারা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করেছে। চার মাস ধরে এই চালার নিচে ক্লাস করছে। তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাসেল মিয়া জানায়, বৃষ্টি হলে চালা ঘরটিতেও পানি পরে। আর রোদে প্রচ- গরম লাগে। জানা গেছে, ১৯৩৫ সালে দক্ষিণ পূর্ব কচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ৫১ শতক জমির ওপর আলাবক্সপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে ২২৮ শিক্ষার্থী ও পাঁচ শিক্ষক রয়েছে। ১৯৯৪ সালে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা পাকা ভবন নির্মিত হয়। কিন্তু নিম্নমানের কাজের কারণে শুরু থেকেই ওই ভবনটি ছিল ব্যবহার অযোগ্য। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ওই ভবনেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানায়, ছাদের প্লাস্টার পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই খোলা আকাশের নিচে চলে পাঠদান। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ এডিবির ফান্ড থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে একটি টিনের চালা ঘর নির্মাণ করে দেয়। বেড়াবিহীন এই চালার নিচে এখন চলে ক্লাস। চালা ঘরটি নিচু হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, ভবন সঙ্কটের কারণে আমরা ওই বিদ্যালয়ে আপাতত টিনের একটি চালা ঘর তৈরি করে দিয়েছি। নতুন ভবন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, ওই বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখন মূল্যায়নের কাজ চলছে।
×