ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্বীকারোক্তির পর রবিনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:২২, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

স্বীকারোক্তির পর রবিনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আদালত সূত্র জানায়, আসামি মেহেদী হাসান রবিন স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দী দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদী হাসান রবিনের জবানবন্দী গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত তিনটার দিকে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তি ॥ কোর্ট রিপোর্টার জানান, এর আগে আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোয়াজ্জেম হোসেন তার এ স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৮ অক্টোবর রবিনসহ ১০ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫ জন আসামি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিলেন। অপর ৪ জন হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও শিক্ষার্থী মোঃ মুজাহিদুর রহমান। এছাড়া মামলাটিতে রিমান্ড শেষে কারাগরে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও মিজানুর রহমান। রিমান্ডে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েটের শিক্ষার্থী শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, সামছুল আরেফিন রাফাত ও হোসেন মোহাম্মাদ তোহা। উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাক-ের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
×