ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াইহাজারে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

আড়াইহাজারে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কুলসুম আক্তার ওরফে মরিয়ম (১৯) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী শাহ আলম পলাতক রয়েছে। তবে নিহতের শ্বশুর জলিল মিয়া ও নিহতের শ্বাশুড়ী কুলসুম বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে স্থানীয় কড়ইতলা পাচানি পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত কুলসুম একই ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, ভোররাতে স্বানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় কুলসুমকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাবিব ইসমাইল জানান, কুলসুমকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বড় ভাই শেখ ফরিদ জানান, গত দুই বছর আগে মানিকপুর এলাকার মৃত আব্দুল হকের মেয়ে কুলসুমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। সোমবার সকালে বোনের শ্বশুর বাড়ি থেকে খবর আসে বোন অসুস্থ হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখেন বোনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের সময় নগদ এক লাখ টাকা, ফার্নিচারসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল দেয়া হলেও আমার বোন শাহ আলমের নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। তিনি আরো জানান, কুলসুমের স্বামী শাহ আলম তার বড় ভাই বিল্লাল বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই তার ভাবী রাশিদার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে কুলসুম প্রতিবাদ করলেই তাকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করত স্বামী শাহ আলম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। নিহতের চাচা শুকুর আলী জানান, বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাশিদার সঙ্গে শাহআলমের পরোকিয়ার জেরে রাতে স্বামী ঘুমন্ত কুলসুমকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরিরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি কুলসুমের স্বামী শাহ আলমের সঙ্গে তার বড় ভাবীর পরকিয়ার কারণে পারিবারিক কলহ চলছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনার জের ধরেই এ ঘটনাটি ঘটেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবদেন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরো জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শাহ আলমের পিতা জলিল মিয়া ও মা কুলসুম বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। স্বামী শাহ আলম ও ভাবী রাশিদা পলাতক থাকায় তাদেরকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
×