ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুইজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমেছে

প্রকাশিত: ১০:৪০, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু থামছে না। রবিবারও বরিশাল ও যশোরে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারী হিসাবে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩শ’ জন। সরকারী হিসাবে এই সংখ্যা ৯১ জন। রবিবারও নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের কমার হার অব্যাহত থাকে। বিভিন্ন হাসপাতপালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও ১শ’ হ্রাস পেয়ে ১১শ’ জনে নেমেছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ভর্তি ও ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৯১,৮৬৬ জন ও ৯০,৪৯২ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৮৭। এদের মধ্যে ঢাকায় নতুন ভর্তি ১০০ এবং ঢাকার বাইরে ১৮৭। সারাদেশে বর্তমানে ভর্তি ডেঙ্গু ও সন্দেহজনক ডেঙ্গু রোগীর সর্বমোট সংখ্যা ১১৩২ জন। ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪১৭ এবং ঢাকার বাইরে ৭১৫ জন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। তাদের মধ্যে আইইডিসিআর ১৫১ জনের মৃত্যু পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ৯৩ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। সূত্রটি আরও জানায়, ঢাকা শহরে অবস্থিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮৫, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৮৩, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৬, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৭, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬, রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে ৩, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩২, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২২ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫৪ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরে অবস্থিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে নতুন রোগী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৯, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৪ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। বরিশাল ॥ স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ শনিবার মারা গেছেন। তিনি ভোলা সদর উপজেলার চরগাজি গ্রামের মৃত নেজাবুল হকের পুত্র। এনিয়ে শেবাচিমে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত জয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যশোর ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা কেশবপুর থেকে জানান, রবিবার দুপুরে কেশবপুরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সাগরিকা ঘোষ (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। কেশবপুর পৌর শহরের আনন্দ ঘোষের স্ত্রী সাগরিকা এক সপ্তাহ আগে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ৩১ আগস্ট উপজেলার বরনডালি গ্রামে রুহুল কুদ্দুস (৫৮) কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে মারা যান।
×