ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবরার হত্যা মামলা

মোজাহিদুরের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

মোজাহিদুরের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় আসামি মোজাহিদুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এ জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এরপর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া এ মামলায় এজাহারের ১৪ নম্বর আসামি শামীম বিল্লাহ ও এজাহারের ১৮ নম্বর আসামি মোয়াজ প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, এদিন আরও পাঁচ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। এই ৫ জন হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর। জানা গেছে, এদিন আসামি মোজাহিদুর স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দী দিতে সম্মত হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করতে আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোজাহিদুরের জবানবন্দী গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। গত ৮ অক্টোবর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে এই আসামিদের আদালতে হাজির করেন পুলিশ। এরপর বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে পাঠানো শামীম বিল্লাহ (২০) বুয়েটের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের ছাত্র। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে। মোয়াজ আবু হুরায়রা (২০) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের একই ব্যাচের ছাত্র। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার পিরপুর গ্রামের মাশরুর-উজ-জামানের ছেলে। গত ৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে ইলেক্ট্রিক এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন চকবাজার থানায় তার বাবা বরকত উলাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৯ আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
×