ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত

প্রকাশিত: ১০:২২, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

  ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ দীর্ঘ তিন মাসের বর্ষাবাস (উপোস) শেষে খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হয়েছে। রবিবার চাকমা, মারমা ও বাঙালী বড়ুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যাপক ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করে। এ উপলক্ষে ভোর থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বিহারে নানা পূজা-অর্চনার আয়োজন করা হয়েছে। সকালে ধর্মীয় র‌্যালি, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, হাজার বাতি দান ও ধর্ম দেশনা দেয়া হয়। সন্ধ্যায় বিহারগুলোতে ফানুস ওড়ানো হয়। এ সময় জগতের সব প্রাণীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। তবে একই ধর্মাবলম্বী হলেও অনেকটা ব্যতিক্রমীভাবে মারমা সম্প্রদায় ওয়া বা ওয়াগ্যো প্যোয় উৎসব পালন করে। হাজার ফুল দিয়ে বুদ্ধপূজা ও সাধ্যমত ভান্তেকে ছোয়াইং (খাদ্য) প্রদান করা মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য। এই সময় বিহারগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা, নদীতে নৌকা ভাসানো, হাজার বাতি প্রজ্বলন ও ফানুস বাতি উড়িয়ে প্রদীপ পূজা করা হয়। নিজস্ব সংবাদদাতা রাঙ্গামাটি থেকে জানান, নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে রবিবার সকাল ৯টায় রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূজারীদের ঢল নামে। সেখানে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান অষ্টপরিষ্কার দান ও বুদ্ধ মূর্তিতে হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। এ উপলক্ষে আগত ভক্তবৃন্দের উদ্দেশে রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন। এ সময়ে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান ও রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি গৌতম দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন। বুদ্ধভিক্ষুরা তিনমাস বর্ষবাস শেষে এই প্রবারণা পূজা পালন করে বিধায় এই উৎসবটি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
×