ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাপাহারে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষককে গনপিটুনি

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

সাপাহারে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ,   ধর্ষককে গনপিটুনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর সাপাহারে এক ধর্ষককে গনপিটুনী দিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে এলাকাবাসী। এবিষয়ে থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার সহদলপাড়া ও ওমইল বাজার এলাকার মাঝামাঝি একটি আমবাগানে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সহদল পাড়ার জনৈক আশরাফুল ইসলামের মেয়ে স্থানীয় উমইল দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। মেয়েটি প্রতিদিনের ন্যায় সেদিন বিকেলে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়তে মাদ্রাসায় আসে। ঘটনাক্রমে প্রাইভেট শিক্ষক সে দিন না আসায় শিক্ষকের অপেক্ষায় সময় কাটিয়ে মেয়েটি সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার দিকে সহদলপাড়া তার বাড়ির উদ্দেশ্যে মাঠের আইল রাস্তা দিয়ে রওনা করে। মেয়েটি মাদ্রাসা হতে তার গ্রামের অদুরে একটি আমবাগানের নিকট পৌঁছা মাত্র পূর্ব হতে ওই বাগানে ওঁত পেতে থাকা একই গ্রামের তছলিম উদ্দীনের ছেলে মোর্শেদ আলী (২২) তার পথ রোধ করে। এর পর মোর্শেদ মেয়েটিকে জোর পূর্বক ঝাপটে ধরে বাগানের ভিতর নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে। এসময় ধর্ষকের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মেয়েটি আতœচিৎকার করতে থাকলে মেয়েটিকে এগিয়ে নিতে আসা তার মা ও তার সাথের লোকজন মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে তারাও চিৎকার শুরু করে। এসময় গ্রামের ভিতর থেকে অনেক লোকজন ছুটে এসে সমস্ত বাগান ঘেরাও করে ধর্ষক মোরর্শেদ আলীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং উত্তম মধ্যম দিতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায় ধর্ষকের মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ষ বের হলে স্থানীয় লোকজন তাকে তাৎক্ষনিক সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করে দেয়। এর পর মেয়েটির বাবা ঘটনার বিবরণ শুনে ও বুঝে গভীর রাতে সাপাহার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে হাসপাতালে ধর্ষক মোরর্শেদকে আটক করে। বর্তমানে ধর্ষক মোরর্শেদ পুলিশ পাহারায় সাপাহার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
×